ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ভালুকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষে চার সাংবাদিক ও চার পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে পৌর সদর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত গণফোরামের প্রার্থী এএইচএম খালেকুজ্জামানের ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার মাইক ও সিএনজিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এছাড়া জেলার মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগের মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। আর এতে আহত হয়েছে এক শিশুসহ দুজন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি নেতা ফখর উদ্দীন আহম্মেদ বাচ্চুর বাসভবনের সামনে কয়েকশ লোক দা-লাঠি ও বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। খবর পেয়ে মহাজোট সমর্থিত নৌকার প্রার্থী আলহাজ কাজিম উদ্দীন আহম্মেদ ধনুর সমর্থকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা চৌরাস্তায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি, আমর্ড ব্যাটেলিয়ন সদস্যরা মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দা-লাঠি নিয়ে শত শত ধানের শীষ সমর্থকরা বিএনপি কার্যালয়ের দিকে এগুতে থাকলে চৌরাস্তায় দুই দল মুখমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে মোহনা টিভির সাংবাদিক ভালুকা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম শাহজাহান সেলিম, বাংলা টিভির জীবন খান, একুশে টিভির জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় পত্রিকার সাইফুল ইসলাম হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন।
আহত সাংবাদিক শাহজাহান সেলিমকে প্রথমে ভালুকা ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর ভালুকা পৌর সদরের বিভিন্ন মোড়ে আইন শৃংখলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
ভালুকা থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।