নিউজ ডেস্ক: ফুলগাজীতে উদ্ধার হওয়া মর্টারশেলটি ধ্বংস করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে বোম ডিসপোজাল বিভাগের সদস্য মেজর শাহদাত হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল মর্টার শেলটি ধ্বংস করে।
উপজেলার সদর উনিয়নের কিসমত বাসুড়া গ্রামের আবদুর রৌপ মিয়ার পুকুর থেকে মর্টারশেলটি উদ্ধার হলেও পার্শ্ববর্তী একটি খালি মাঠে গর্ত করে বিস্ফোরণ ঘটায় বোমা বিশেষজ্ঞ দল। এর আগে আশপাশ এলাকার লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন জানান, মর্টাল শেলটি ধ্বংস করার সময় বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। এ সময় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, মর্টার শেলটি উপরে বিস্ফোরিত হলে, আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকার মানুষ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হতো বলে জানিয়েছেন বোম বিশেষজ্ঞরা।
এসময় বোম ডিসপোজাল বিভাগের সদস্যরা ছাড়াও ফুলগাজী থানার ওসি (তদন্ত) পান্না লাল বডুয়াসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কুতুব উদ্দীন জানান, মর্টারশেলটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকে পুলিশি পাহারায় ছিল। পরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সেটি ধ্বংস করা হয়।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে বোম ডিসপোজাল বিভাগের কর্মকর্তারা এসে মর্টারশেলটি ধ্বংস করেন। তবে কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।
এর আগে শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের আবদুর রৌপ মিয়ার পুকুরে মাটি খোঁড়ার সময় মাটিয়ালরা (মাটি কাটার শ্রমিক) মাটি কাটার সময় লোহার মতো কিছু একটার অস্তিত্ব অনুভব করে। পরে মাটি খনন করে তারা দেখেন যে পিতল জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি বিশাল আকারের বোমা সদৃশ্য একটি বস্তু।
তাৎক্ষণিক খবরটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে পুলিশ নিশ্চিত করেন যে, এটি একটি মর্টারশেল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা হলেও তা না ফুটে তাজা অবস্থায় পুকুরে থেকে যায় বলে স্থানীয়দের ধারণা।