নিউজ ডেস্ক : ডেঙ্গু সনাক্ত করতে ব্যয় এক হাজার টাকার বেশি হলেও তা বিনামূল্যে করার ঘোষণা দিয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমেদের এমন উদ্যোগ ব্যাপক সারা ফেলেছে ও প্রশংসিত হয়েছে।
জানা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২০৩ জন এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যাদের প্রায় সকলের বিপরীতেই বিনামূল্যে ডেঙ্গু জ্বরের সব এন্টিজেন পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গু সন্দেহে প্রায় ৩৫ জন বিনামূল্যে এই হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়েছেন। তবে তাদের ডেঙ্গু ধরা পড়েনি।
মমেকে হাসপাতালে আলাদা কোনো ওয়ার্ড না থাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নারীদের ১১, ১২ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এবং পুরুষদের ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সকল ডেঙ্গু রোগীদের সব ধরনের পরীক্ষা হাসপাতালে বিনামূল্যে করার পাশাপাশি তাদেরকে বিনামূল্যে মশারিও সরবরাহ করা হচ্ছে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সেবার মান, নিয়ম শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, হাসপাতালে ডাক্তারদের উপস্থিতি সার্বিক দিক বিবেচনা করে ২০১৮ সালে দেশের সেরা হাসপাতাল হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই সাফল্যের সিংহভাগ শত অবদান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমেদের।
মাত্র কিছুকাল পূর্বেও অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালাল সিন্ডিকেটদের অবাধ বিচরণ স্থল ছিল মমেক হাসপাতাল। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তার হাতের ছোঁয়ায় মাত্র সাড়ে তিন বছরে পাল্টে গেছে পুরো চিত্র। দালালদের দৌরাত্ম নির্মূল করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে রোগীবান্ধব একটি হাসপাতালে পরিণত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাছির উদ্দীন আহমদ।
নীতিনির্ধারকদের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি চিকিৎসাসেবায় দেশের প্রথমস্থান লাভ করেছে। গত বছর দেশের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাসেবা নিয়ে জরিপ শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে প্রতিদিন সকালে দেখা যায়, অনেক রোগী আউটডোর থেকে ওষুধের গুদামের দিকে যাচ্ছেন। ওষুধ সংগ্রহের জন্যে। হাসপাতালে সেবা এবং ওষুধের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন এখন এই হাসপাতালের সকল রোগীরা। আউটডোরের দরজায় বড় করে সিটিজেন চার্টার টাঙানো হয়েছে। নাগরিক হিসেবে এই হাসপাতাল থেকে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন, তা লেখা রয়েছে ওই চার্টারে। আর ইনডোর রোগীদের জন্য শতভাগ ওষুধ সরবরাহের অঙ্গীকারমূলক নোটিশ ও নিশ্চয়তাও প্রদান করা হয়েছে।