ময়মনসিংহ থেকে : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের শাখাইয়া গ্রামের মুন্সিবাড়ীর মো. সায়েদুর রহমানের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ছেলে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েসহ সড়ক দুর্ঘ'টনায় একই পরিবারের ৫ জন নিহ'ত হয়েছেন।
নিহ'তরা হলেন, রফিকুল ইসলাম জীবন (৪৫), স্ত্রী শামছুন্নাহার (৩৫), কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাবিল ইসলাম (১৮), স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রওনাক জাহান (১৩) ও শ্যালক আশরাফুল ইসলাম (২১)।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানায়, একই পরিবারের ৫ জনের মৃ'ত্যু হলেও অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুটি আইসিইউতে। রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন ঈদের ছুটি শেষে নিজের প্রাইভেটকারে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর শুশুরবাড়ি এসেছিল।
আজ মধুপুর থেকে টাঙ্গাইলে ঘাটাইল যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর নামকস্থানে পৌঁছলে কিশোরগঞ্জগামী এমকে পরিবহনের দ্রুতগতির একটি বাস ওভারটেক করার সময় চাপা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহানা মারা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুত্বর আহ'ত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম, তার ছেলে নাবিল ইসলাম, নাহিদ ইসলাম, কন্যা রওনক জাহান, শ্যালক আশরাফুল ইসলাম এবং প্রাইভেটকার চালক সেলিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম, নাবিল ইসলাম ও মেয়ে রওনক জাহানকে মৃ'ত ঘোষণা করেন।
পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া তিন বছরের শিশুপুত্র নাহিদ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আহ'ত অপর দুইজন আশরাফুল ও চালক সেলিমকে ৭নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে আশরাফুল মারা যায়।
হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন শিশু নাহিদের অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গৌরীপুর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, পুলিশ বাসটি আটক করেছে তবে চালক পালিয়ে গেছে।
তাদের অকাল মৃ'ত্যুতে শোকের মাতম চলছে এলাকায়। শোকাহ'ত পরিবারের প্রতি স্থানীয় এমপি মানু মজুমদার, উপজেলা চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার, ইউএনও ফারজানা খানম গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।