নারায়ণগঞ্জ : ১২ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর ঘটকালি করতে গিয়ে ধরা খেল ঘটক। ঘটনাটি ঘটেছে
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে। মধ্যরাতে বাল্যবিয়ে ঠেকালেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব।
ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে ঘটক, বর ও বরের বাবাকে সাজা দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাতে বন্দর লেজারার্স আবাসিক এলাকায় কনের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতিকালে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বর রফিদুল (২০), তার বাবা জহির (৫৭) ও ঘটক মমিনুল (২৫)।
সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার খানসামা থানার উত্তরকিষান গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে রফিদুল ইসলামের সঙ্গে বন্দর লেজারার্স আবাসিক এলাকার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়।
রফিদুলের গ্রামের বাড়ির ঘটক মমিনুল ইসলাম বিয়ের মধ্যস্থতা করেন। বুধবার রাতে বন্দরের লেজারার্সে ছাত্রীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
বিয়ের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে বিয়ের আসরে হাজির হন ইউএনও মৌসুমী হাবিব।
ইউএনও এবং পুলিশ দেখে থমকে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় কনের বাবা-মা।
এরপর বিয়ের আসর থেকে বর ও বরের বাবা এবং ঘটককে আটক করে পুলিশ। পরে ওই বিয়ের আসরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ঘটক মমিনুলকে ৬ মাস, বর রফিদুলকে এক মাস ও বরের বাবা জহিরকে ৫ মাসের সাজা প্রদান করা হয়।
২৫ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম