বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৭:৩১:৩৭

এবার নূর হোসেনের ভাগ্যে বিরিয়ানীর বদলে চিড়া-গুড়

এবার নূর হোসেনের ভাগ্যে বিরিয়ানীর বদলে চিড়া-গুড়

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ আদালতে আলোচিত সাত খুন মামলার আসামিদের ভাগ্যে এবার বিরিয়ানীর বদলে চিড়া ও গুড়।  জুটেনি বিরিয়ানী।  দুপুরের খাবারের বিরতিতে তাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে নিয়ে আসা চিড়া ও গুড়।

আদালতের কাঠগড়া থেকে নিরাপত্তায় কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে নূর হোসেন, বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদসহ ২৩ আসামিকে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়।  খাওয়ার সময় তাদের গ্লাসে করে পানি দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা চলাকালীন দুপুর দেড়টায় বিরতি দেয়া হয়।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আদালতের কাঠগড়ায় দুপুরের খাবার বিরতিতে আসামিরা বিশৃঙ্খলা করে।  এজন্য বৃহস্পতিবার খাবারের বিরতির সময় কোর্টহাজতে নিয়ে চিড়া ও গুড় খাওয়ানো হয়েছে।

সকাল সাড়ে ৯টা হতে পৌনে ৫টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের দুটি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ২৩ আসামির উপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মন্ডলকে জেরা করা হয়।
 
গত ২৪ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা চলাকালীন দুপুরের খাবারের বিরতিতে নূর হোসেনের পক্ষ থেকে সব আসামিকে বিরিয়ানী খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

ওইসময় বিরিয়ানী না পেয়ে র‌্যাবের বহিষ্কৃত হাবিলদার এমদাদ হোসেন নূর হোসেনকে চড়-থাপ্পড় মারেন।  এ নিয়ে কাঠগড়ায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

এদিকে তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, আরিফ ও এমএম রানা’র পক্ষের আইনজীবীরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মন্ডলকে জেরা করেন।

তাদের জেরা শেষ হওয়ার পর ৩টায় নূর হোসেনের পক্ষে আইনজীবী খোকন সাহা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করেন।  

বিকেল পৌনে ৫টায় আদালত আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নূর হোসেনের পক্ষে অসমাপ্ত জেরা মুলতবী ঘোষণা করা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, নূর হোসেনের পক্ষে অসমাপ্ত জেরা আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবী করেছেন আদালত।

সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলায় একটির বাদী নিহত আইনজী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপরটির বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।

দুটি মামলায় অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে।  এখন পর্যন্ত সাত খুনের দুটি মামলায় অভিন্ন ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।  এখন জেরা শুরু হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে