মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬, ০৯:১০:৫২

‘গর্ভের সন্তান নষ্ট করে বাপের বাড়ি চলে গেছে স্ত্রী’, আদালতে র‌্যাব সদস্যের হাউ মাউ কান্না

‘গর্ভের সন্তান নষ্ট করে বাপের বাড়ি চলে গেছে স্ত্রী’, আদালতে র‌্যাব সদস্যের হাউ মাউ কান্না

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার আসামি র‌্যাব সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা প্রকাশ্য আদালতে হাউ মাউ করে কেঁদেছেন। এসময় তিনি আদালতে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘সাত খুনের তিন মাস আগে বিয়ে করেছিলাম। স্ত্রীর গর্ভে আমার সন্তানও এসেছিল। আমি জেলে থাকায় আমার স্ত্রী গর্ভের সন্তান নষ্ট করে বাড়ি থেকে তার পিত্রালয়ে চলে গেছেন। কোনো অন্যায় না করেও এতো দিন ধরে জেলে পড়ে আছি।’

সোমবার দুপুর ১টায় সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত লে. কর্ণেল ও র‌্যাব-১১ সাবেক কমান্ডিং অফিসার (সিও) তারেক মোহাম্মদ সাঈদের পক্ষে যুক্তিতর্ক চলার সময় পুর্ণেন্দু বালা এ কথা বলেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত ২৩ আসামির উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ৪র্থ দিনে আরও ৭ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। এনিয়ে ৩৫ আসামির মধ্যে ৩০ জন আসামির আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ফের বাকী আসামিদের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, তারেক মোহাম্মদ সাঈদকে নির্দোষ দাবি করে তার পক্ষে অসমাপ্ত যুক্তি শেষ করেছেন আইনজীবী সুলতানুজ্জামান ও সাহাবুদ্দিন। এরপর আদমজী নগর র‌্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন। পরে পর্যায়ক্রমে সিপাহী আবু তৈয়্যব, কনেস্টবল সিহাবউদ্দীন, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসিরউদ্দীনের পক্ষে যুক্তিতর্ক পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং এসআই পুর্নেন্দু বালার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হরেন্দ্র নাথ মন্ডল।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী ষ্টেডিয়ামের সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরণ করেন র‌্যাব-১১ এর বিপদগামী সদস্যরা। এরপর হত্যা শেষে ইট বেঁধে প্রত্যেকের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। পরে একে একে প্রত্যেকের লাশ ভেসে উঠে।

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় প্রথমে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং পরে আরও একটি মামলা দায়ের করেন নিহত আইনজী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল।

দুটি মামলার চার্জশিটে (অভিযোগপত্র) অভিন্ন ৩৫ জন করে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার ও ১২ জন এখনো পলাতক আছে। -যুগান্তর।
২৯ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে