মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৪৫:৪৬

যে কারণে আইভী-সাখাওয়াতের ভয় ‘ঘরের শত্রু বিভীষণে’

যে কারণে আইভী-সাখাওয়াতের ভয় ‘ঘরের শত্রু বিভীষণে’

নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় দুই দলের প্রার্থী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন ও আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াত আইভী তাদের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

কিন্তু তারা নিজ দলের নেতাদেরই প্রতিপক্ষ বলে মনে করছেন। দু’পক্ষের রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, ঘরের শত্রু বিভীষণ না হলে হলে  নিশ্চিত জয় দেশের প্রধান দুই দলের মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের।

ইতিমধ্যেই আইভীর বক্তব্যে বিষয়টি প্রকাশ পেলেও, বিএনপি’র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনের কর্মকান্ড এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

সম্প্রতি সেলিনা হায়াত আইভী কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। বিএনপির প্রার্থীকে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি দলের সবাই তার পক্ষে কাজ করতে না পারলেও বিরোধিতা যাতে না করেন সেটা দেখতে হবে।

ইতিমধ্যেই সাবেক এমপি আবুল কালাম, প্রবীণ বিএনপি নেতা জামল উদ্দিন কালু, আব্দুল মজিদ, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল জেলা বিএনপি নেতা জান্নাতুল ফেরদৌস, শহর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর কমিশনার, জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আনিসুল ইসলাম সানিসহ অনেকের বাড়িতে গিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন সাখাওয়াত।

এবিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নেতাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকাটা স্বাভাবিক। আমি আশা করি দলের বৃহত্তর স্বার্থে সেই মান-অভিমান প্রশমিত হবে। সাখাওয়াতের দাবী, ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে কোন অংশে কম নয় তিনি।

সূত্র জানায়, দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজ দলের প্রার্থী’র পক্ষে কাজ করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়নি উভয় দলের মাঝেই। ফলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে নেতাকর্মীদের দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের হয়ে খুবই কম দেখা যাচ্ছে।

তবে দুই দলেই মনে করছেন, এটা হবে একটা মডেল নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে উভয় দল তাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করবেন। সেজন্যই জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

উল্লেখ্য, দলীয় প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদের নাম কেন্দ্রে পাঠায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ।

এই তিনজনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াত আইভীর নাম না থাকলেও কেন্দ্র দলীয় মনোনয়ন তার হাতে তুলে দেন। অপর দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনীত করার পূর্বে বিএনপি থেকে একাধীক নেতা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করেন।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে। ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে