নিউজ ডেস্ক: একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ের পর এক ব্যতিক্রম পরিবেশ দেখা গেল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান শিবিরে। ৩০ ডিসেম্বর রাতে শহরের রাইফেল ক্লাবে গিয়ে দেখা যায় নেতাকর্মী সমর্থকরা শুধু কাঁদছেন আর চোখ মুছছেন। খোদ শামীম ওসমানও কান্না ধরে রাখতে পারেননি। আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নিজাম শামীম ওসামনের পা ধরে দোয়া চেয়ে কাঁদছিলেন। পা ছাড়ছিলেন না তিনি। ওই সময় শামীম ওসমানও কেঁদে ফেললেন। জয়ের পর বক্তব্যে নেতাকর্মীরা আশা করেছিল বিজয় মিছিল করার দিক নির্দেশনা দিবেন শামীম ওসমান।
কিন্তু ঘটলো উল্টো। নেতাকর্মী-সমর্থক উপস্থিত সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আজকের জয় বঙ্গবন্ধু ও তার যোগ্যা কন্যা আমার মাতৃতুল্য শেখ হাসিনার উন্নয়নের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের জয় হয়েছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ কোন বিএনপি নেতাদের ওপর বাড়াবাড়ি করবেন না। তাদেরকে ভালোবাসুন। কারণ ভালোবাসা ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া যায় না। আমি যেন না শুনি আমার কোন নেতাকর্মী-সমর্থক কোন বিএনপি নেতাকর্মীর সাথে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি জনপ্রতিনিধি, আামি সবার। এ আদর্শ আমার নেত্রীর।
শামীম ওসমান আরও বলেন, বিগত দিনে আমরা ভালোবেসেই শক্রর মন জয় করেছি। আমাদের মিল কারখানা ভাংচুর করা হয়েছিল। গবাদিপশুকে জীবন্ত আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হামলাকারীদের ভালোবেসেই মন জয় করেছি। সেই ভালোবাসায় নারায়ণগঞ্জে গত তিন মাসে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে। এটার স্বাক্ষী তো আপনারাই। করার মত অনেক কিছুই ছিল। তাই আমাদের এসব বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমার অনেক স্বপ্ন। আপনাদের কাছে ওয়াদা করে ফেলেছি। নারায়ণগঞ্জ মেডিকেল কলেজ উন্নত হাসপাতাল ও উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করব। আপানাদের ওয়াদা পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের নেতাকর্মীরা আজকে আমাকে কাঁদিয়ে ছাড়লেন। জয়ের পর উল্লাস না করে আপনারা যে জয়ের আনন্দে কাঁদলেন এর চেয়ে বড় পাওয়া কি। বোঝা গেল আমাদের দিল নরম আছে। এই কান্নাকে শক্তি বানিয়ে আসুন সুন্দর সোনার বাংলা গড়ি। যে সোনার বাংলা গড়তে আমার নেত্রী দিনভর পরিশ্রম করছেন।