বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৪৯:৩০

খালার সাথে পরকীয়া ভাগিনার! সবজি বিক্রেতা দেখে ফেলবে এই লোকলজ্জার ভয়ে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা

 খালার সাথে পরকীয়া ভাগিনার! সবজি বিক্রেতা দেখে ফেলবে এই লোকলজ্জার ভয়ে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে নিখোঁজের দেড় মাস পর মুন্সীগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার রামপালের শিকদারবাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত যুবকের নাম কাজী রফিকুল ইসলাম রনি (৩৮)। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার লালপুর এলাকার মৃত কাজী জাহের উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে গত ২ নভেম্বর নিখোঁজ হন রনি। নিখোঁজের পর অনেক খোঁজ করে তাকে না পেয়ে গত ৬ নভেম্বর তার ছোট ভাই মো. আমিনুল ইসলাম ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের খালা রুমা বেগম (৫১) ও কাজের বুয়া আম্বিয়াকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় আটক রুমা বেগম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সদর থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, কাজী রফিকুল ইসলাম রনির সঙ্গে তার দূরসম্পর্কের খালা রুমা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। রুমার স্বামী জসিম উদ্দিন খন্দকার ঢাকার বাড্ডায় থাকেন। রনি কথিত খালারবাড়ি যেতেন এবং সেখানে লুকিয়ে রাতযাপন করতেন।

একপর্যায়ে রনির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়, এতে বাদসাধে রুমা। এ জন্য তাকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখতেন তিনি।

ঘটনার দিন গত ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক সবজি বিক্রেতা দেখে ফেলবে এই লোকলজ্জার ভয়ে ঘরের ভেতর একটি কাপড় রাখার ট্রাংকের ভেতর লুকায় রনি। একপর্যায়ে ট্রাংকের লক লেগে যায়। ২ ঘণ্টা পর রুমা ট্রাংক খুলে দেখেন রনির মারা গেছেন। সারা দিন এবং রাত পেরিয়ে পর দিন ভোরে রনির মরদেহ রুমা এবং আম্বিয়া মিলে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে