নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দূর্ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট। বাড়িতে বিস্ফোরণে তিন মাসের শিশুসহ দুই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস বলছে, গ্যাসের চুলার লিকেজে জমে থাকা গ্যাস থেকে শুক্রবার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মফিজুল ইসলামের বাড়ির তৃতীয় তলায় পোশাক কারখানায় কাজ করা ২টি পরিবার বাস করেন। রাতে চুলায় গ্যাসের চাপ না থাকায় একটি পরিবারের লোকজন চুলার বার্ণার বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালালে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বিকট শব্দ হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায় এবং কক্ষের দরজাসহ দুইটি দেয়াল ধসে পড়ে। বিকট শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন। পরে চিকিৎসার জন্য ৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ও ৬ জনকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক সাজু বেগম বলেন, তিন তলা ভবনের তৃতীয় তলার ডান পাশের ফ্ল্যাটের দুটি কক্ষে মো. হাবিবুর ও মো. সোনাহার নামের দুই পরিবারের ১১ জন থাকতেন। ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে তৃতীয় তলার দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে যায়। আগুনের তাপ ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তাপে সবগুলো ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা ভেঙে গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, রাতে গ্যাসের চুলার বার্ণার বন্ধ না করায় চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে রান্নার জন্য চূলায় আগুন জ্বালালে গ্যাসের পাইপ লাইনের বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় তিন মাস বয়সের একটি শিশুসহ ছয়জন নারী ও চারজন পুরুষ আগুনে দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শিশুটিসহ পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয় এবং ছয়জনকে সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।