নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ২১ ঘণ্টা পরও আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রথম থেকে তৃতীয় তলার আগুন কিছুটা নিভলেও ছয়তলা ভবনের ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় এখনো আগুন জ্বলছে। এছাড়া সেজান ফ্যাক্টরির দেয়ালে ফাটল ধরায় পানি দিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মর্গে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনটির ছাদ তালাবদ্ধ থাকায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। আগুন লাগা ভবনটি থেকে এক ধরনের বিকট শব্দ আসছে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, ভবনটিতে ফাটল ধরেছে। এই কারণে তারা আগুন নেভানোর কাজে হাল এক ধরনের ছেড়েই দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস আরও বলেন, এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আগুন আপনা-আপনি নিভে যাওয়ার।
সকাল থেকে কারখানার সামনে হতাহতের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। অনেক শ্রমিক এখনও ওই ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিক ও নিখোঁজের স্বজনরা। শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাত তলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচ তলার একটি ফ্লোরের কার্টন থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কালো ধোয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করে। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন।