মর্মান্তিক আর দুঃখজনক আগুনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুস কারখানায় মারা গেল বহু মানুষ। ঐ কারখানার অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক মো. ফয়সাল সেদিনের ভয়াবহ আগুনের হৃদয়বিদারক বর্ণনা দিলেন। ফয়সাল বলেছেন, হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার চার তলায় আমরা ১৮ জন কাজ করতেছিলাম। হঠাৎ দেখি নিচে থেকে উপরের দিকে ধোয়া আসছে। আমাদের ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন নিচে নাইম্যা গেল। আর আমরা ৬ জন ছাদে উঠে যাই। নিচে তাকায়া দেখি শুধু আগুন আর আগুন। মনে হইতাসিল আর বাঁচুম না।
তার চাচা মো. নোমানও এই কারখানায় কাজ করছিলেন। কিন্তু চাচার খোঁজ না পেয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন। তিনি বলেন, এক ঘণ্টার মতো ছাদে ছিলাম এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আমাদের নিচে নামিয়ে আনে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে থাকা যে ১২ জন চার তলা থেকে নিচ তলায় নেমেছে কোনো খোঁজ পাই নাই। এই ভবনে আমার চাচা মো. নোমানও কাজ করতেন। আমরা তার খোঁজও পাচ্ছি না।
তিনি আরো বলেন, চার তলা থেকে ছাদে উঠার পর চারিদিকে প্রচণ্ড বাতাস। নিচে শুধু আগুন আর আগুন। মনে হইতাসিল, আর বাঁচুম না। মারে কল দিলাম। তারে বললাম- মা আর বাচুঁম না, দোয়া কইর। এরপর মা কান্নাকাটি করতাসিল। পরে আমি ভাইয়ের সাথে কথা বললাম।