মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় পুড়ে ছাই একের এক শ্রমিক। গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন নাজমা বেগম। আজ দু’দিন কেটে গেলেও আর ঘরে ফেরেনি নাজমা। তাই মাকে খুঁজতে নানির সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এসেছে।
এদিক নাজমা বেগম যেখানে কাজ করতেন, সেখানেই বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে ৪৮ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নিয়ে আসা হয়। মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে চেনার কোনো উপায় নেই।
এ জন্য মরদেহ শনাক্তে মর্গ এলাকায় স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নিচ্ছে সিআইডি। নয়নের মায়ের খোঁজে তার নানী কল্পনা ঢাকা মেডিকেল মর্গ এলাকায় স্থাপন করা সিআইডির বুথে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছেন।
সিআইডির বুথ থেকে বের হয়ে কল্পনা বলেন, ‘ছেলেকে আমার কাছে রেখে নাজমা বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যায়। এরপর সে আর ফিরে আসেনি। কারখানায় আগুন লাগার পর নয়নের মায়ের সঙ্গে আমাদের আর কথা হয়নি। এখন মেয়ের খোঁজে এখানে এসেছি। রক্ত দিয়েছি।’
এ সময় কল্পনার সঙ্গে আসা নয়নের ছল ছল দু’চোখ মাকে খুঁজে ফিরছিল। অস্ফুট কণ্ঠে নয়ন বলে, ‘আগে মা নিজ হাতে আমাকে ভাত খাইয়ে দিত। আজ নানি খাইয়ে দিয়েছে। আমি মায়ের হাতে ভাত খেতে চাই। আমার মা কোথায় আছে জানি না। আমি মাকে চাই।’