‘করোনা হিরো’খ্যাত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে এক নারী (৪৪) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে এ মামলা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যালের জেলা জজ নাজমুল হাসান শ্যামল মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বিভিন্ন সময় ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। প্রথমে রাজি না হলেও তার (খোরশেদ) মনভোলানো কথার একপর্যায়ে ওই নারী প্রেমের সম্পর্ক করতে সম্মত হন। ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন মাকসুদল আলম খন্দকার খোরশেদ। একই সঙ্গে প্রতারণা করে নারীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করা হয় মামলার আবেদনে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী নারী একপর্যায়ে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এবং ওই নারীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান।
ওই নারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়েছে। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় নাম উল্লেখ করে একমাত্র আসামি করা হয়েছে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে।
এ বিষয়ে মামলার আসামি কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, ‘আমার সামাজিক মর্যাদা রয়েছে, আমার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। সেই মর্যাদা নষ্ট করতে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে তারা উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়।’ এসব যড়যন্ত্র কোনো কাজে আসবে না বলে জানান তিনি।