৩ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া, রাবার বু'লেট টি'য়ার সে'ল নিক্ষে'প আহত ১৫।
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত ওপেক্স গ্রুপের সিনহা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
বিক্ষু'ব্ধ শ্রমিকরা এসময় মহাসড়কে টায়ার জ্বা'লিয়ে খন্ড খন্ড ভাবে বিক্ষো'ভ মিছিল বের করে। এসময় মহাসড়কের দুই প্রান্তে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তী'ব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের স'রিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘ'র্ষ, ধা'ওয়া পা'ল্টা ধা'ওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষে'প।
পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভ'ঙ্গ করতে একপর্যায়ে গু'লি ও টি'য়ার সে'ল নিক্ষে'প করে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এঘটনায় গু'লিবি'দ্ধ ১ পুলিশ সদস্যসহ ৫ পুলিশ, ৮ জন শ্রমিক ও পথচারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধের কারণে কাঁচপুর এলাকা থেকে মহাসড়কের দুই প্রান্তে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তী'ব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনহা গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা জানান, লকডাউন থেকেই তাদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। বুধবার সকালে তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মালিক কর্তৃপক্ষ। সকালে হঠাৎ বকেয়া বেতন-ভাতা আগামী মাসে পরিশোধ করা হবে বলে একটি নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মালিক কর্তৃপক্ষ।
এঘটনার পর শ্রমিকরা বকেয়া বেতন-ভাতার জন্য মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষের ভাড়াটিয়া লোকজন শ্রমিকদেরকে মালিকের সঙ্গে কোন কথা বলতে দেননি। বাধ্য হয়ে বিকেলে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যাপারে সমঝোতা করার চেষ্টা করা হলেও বিক্ষু'ব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষে'প শুরু করে। কয়েকজন শ্রমিক নেতা এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গু'লিও ছু'ড়ে। এঘটনার পর পুলিশ আ'ত্নরক্ষার জন্য প্রায় ৬০ রাউন্ড গু'লি ও প্রায় ৩০ রাউন্ড টি'য়ার সে'ল নিক্ষে'প করে।
এসময় শ্রমিক নেতাদের গু'লিতে শিল্পাঞ্চল পুলিশের কনেস্টেবল সজিব (ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ) মা'রা'ত্মক ভাবে আহ'ত হয়। এছাড়াও তিনিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহ'ত হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।