এমটি নিউজ ডেস্ক : গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে বিপুল পরাজিত হওয়ার পরদিনই গ্রেফতার কর্মীদের জামিন করাতে আদালতে সারাদিন কাটিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালেই শহরের চাঁদমারী এলাকার আদালতে হাজির হন তৈমূর। এরপর এক দপ্তর আরেক দপ্তরে দৌড়াতে দৌড়াতে তার সারাদিন অতিবাহিত হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত কর্মীদের জামিন করাতে পারেননি তিনি।
নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক-অঞ্চল) নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। আমি যদি নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোনো ভুল করে থাকি, তাহলে আমার দুজন গাড়িচালকসহ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করা হোক।’
এদিকে জামিন শুনানি শেষে বের হতেই তৈমূর আলমকে আদালতপাড়ায় জড়িয়ে ধরে আহাজারি করেন গ্রেফতার কর্মী-সমর্থকের পরিবারের সদস্যরা। তাদের আহাজারিতে তৈমুর আলমও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এসময় গ্রেফতার জয়দেব চন্দ্র মানিকের স্ত্রী অঞ্জনা রানী আহাজারি করে তৈমুরকে বলেন, ‘আমার স্বামী আপনাকে বেশি ভালোবাসে। তাই আপনার বাসায় এসে সে গ্রেফতার হয়েছে। আপনি তাকে ছাড়িয়ে দেন। স্বামী ছাড়া আমার কেউ নাই। ঘরে শিশুসন্তান কয়দিন ধরে বাপকে খুঁজে পায় না। কষ্ট হচ্ছে সন্তানকে সান্ত্বনা দিয়ে রাখতে।’
জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে সবসময় আছি। আমি তোমাদের দায়িত্ব নিলাম। তোমাদের সবকিছু আমি দেখবো, চিন্তা করো না।’এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আগেই আমার দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করে আসছে। গাড়ির ড্রাইভারকে পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে। তাদের হেফাজতে ইসলামের গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। যেখানে আমার একজন হিন্দু কর্মীও রয়েছে।’