তারেকের রিটে বিব্রত হাইকোর্ট
নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলা বাতিল ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের বিষয়ে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন।
এর পর তারা আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। এখন নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি আবেদন শুনানির জন্য পৃথক বেঞ্চ গঠন করবেন।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আদালতে বলেন, এ মামলার শুনানিতে আমাদের মধ্যে একজন বিব্রতবোধ করছি।
সোমবার দুপুরে এ মামলা বাতিল ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের আদেশ দেওয়ার কথা ছিল। আজ আদালতে তারেক সাঈদের পক্ষে আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সাত খুন মামলার আসামি র্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাইদ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এ রিট দায়ের করেন। রিটে মামলার আইনগত বৈধতা নেই উল্লেখ করে মামলা বাতিলের আরজি ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ০৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুইটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। এ মামলায় ভারতে আটক নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। বাকি ১২ জন পলাতক রয়েছেন।
হত্যার দায় স্বীকার করে র্যাবের ১৭ জনসহ ২২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ঘটনার সাক্ষী হিসেবে র্যাব সদস্যসহ ১৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
দুই মামলার একটিতে বাদিনী সেলিনা ইসলাম বিউটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
০৭ মার্চ ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
