নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই মর্মে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ আছে।
গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে স্কুল কমিটির লোকজন ও স্থানীয় জনগণ প্রথমে মারধর করে।
পরে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান কানধরে উঠবস করান। তবে এ বিষয়ে তিনি লজ্জিত ও দুঃখ প্রকাশ করে শিক্ষকের প্রাণ বাঁচাতে এ কাজ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
ওই রাতেই শ্যামল কান্তি ভক্তকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরদিন শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে হাসপাতালের ২০ নং ওয়ার্ডে শয্যা দিলেও পরে উন্নত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ডা. শফিউল আজমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২০ মে পুলিশ পাহারায় শ্যামল কান্তি ভক্তকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ওই বোর্ডের অধীনেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত ৯ জুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রিলিজ দেয়ার পর ওইদিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের নগর খানপুরে মোকরবা সড়কের বাসায় ওঠেন।
এ ছাড়া কান ধরে উঠবসের ঘটনার পর শ্যামল কান্তিকে বরখাস্ত করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। কিন্তু পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ‘তদন্তসাপেক্ষে মিথ্যা’ বলে তাকে স্বপদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানান। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় ওই স্কুল পরিচালনা কমিটিকে বাতিল করেন শিক্ষামন্ত্রী।
০৪ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম