নারায়ণগঞ্জ: বন্দরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছে মুন্নি (১৭) নামে নারায়ণগঞ্জ সরকারী তোলারাম কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ।
সোমবার বেরসিক পুলিশ ছাত্রীকে প্রেমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রেমিক পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এব্যাপারে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ আখড়া এলাকার মোক্তার হোসেনের কলেজ পড়ৃয়া মেয়ে মুন্নীর সঙ্গে ৩ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলামের (১৯)। এরপর উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মুন্নী বিয়ের জন্য চাপ দিলে জহিরুল নানা তাল বাহানা করে। বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় রোববার মুন্নী প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করে। এ সময় প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে জহিরুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। অবস্থার বেগতিক দেখে প্রেমিকের বাবা মহিউদ্দিন বন্দর থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ রোববার রাতে প্রেমিকের বাড়ি থেকে মুন্নীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জহিরুলের বাবা মহিউদ্দিন জানান, এক সপ্তাহ আগে মুন্নী প্রথমবার তাদের বাড়িতে আসে। ছেলে এবং মেয়ের বয়স কম হওয়ায় তিনি বুঝিয়ে মুন্নীকে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেন।
বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জহিরুল ও মুন্নীর সঙ্গে তিন বছর ধরে পরিচয়। মুন্নী প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে দুই দিন আগে জহিরুলের বাড়িতে অবস্থান নেয়। বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সুরাহা করা হবে বলে তিনি জানান।-যুগান্তর
৮ আগস্ট ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস