নোয়াখালী : সাততলা একটি ভবনের সমান তার উচ্চতা। বাঁশ, খড়, কাঠ আর লোহার রড দিয়ে বানানো হয়েছে প্রাথমিক কাঠামো। এরপর কাদামাটির প্রলেপ। কয়েক স্তর লেপে শুকানোর পর, তাতে দেয়া হয়েছে সিমেন্টের আস্তর।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে কাজ করার পর ৭১ ফুট উচ্চতার দেবী দুর্গার কাঠামো বানানো এখন শেষের পর্যায়ে। বলা হচ্ছে, এটি বাংলাদেশের উচ্চতম দুর্গা প্রতিমা। বানাচ্ছে নোয়াখালীর চৌমুহনী সার্বজনীন বিজয়া দুর্গা মন্দির। আর তাদের দাবীকে সমর্থনই করলেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটিও। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে এত উচু প্রতিমা এর আগে আর কখনো বানানো হয়নি।
চৌমুহনী সার্বজনীন বিজয়া দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তাপস সাহা জানিয়েছেন, নতুন কিছু করার প্রয়াস থেকে এমন বড় আকৃতির প্রতিমা গড়ার ভাবনা।
শুধু যে দুর্গার উচ্চতাই বেশি এমন নয়। দুর্গার সাথে সামঞ্জস্য রেখে অন্য প্রতিমাগুলোও বড় আকারের বানানো হয়েছে। যেমন লক্ষ্মীর উচ্চতা ৪৫ ফুট, সরস্বতী ৪০ ফুট, গণেশ ৩৫ ফুট এবং কার্তিকের উচ্চতা ৩০ ফুট করা হয়েছে। আর এই বিশালাকৃতির পুজামঞ্চ তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৩৫ লক্ষ টাকা।
ইতিমধ্যেই প্রতিমা মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে চৌমুহনী সার্বজনীন বিজয়া দুর্গা মন্দিরের পুকুরের মাঝখানে। প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা করে রাতদিন খাটছেন ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি বাহিনী।
কেউ ঘষে মসৃণ করছেন দশভুজা প্রতিমার অবয়বের নানান অংশ। কেউ রং করছেন। কেউ বা প্রতিমার গায়ের আনুষঙ্গিকের খুঁটিনাটি মিলিয়ে নিচ্ছেন মূল নকশার সঙ্গে। মে মাসের মাঝামাঝি কাজ শুরু করেন মৃৎশিল্পী অমল পাল। অক্টোবরের পাঁচ তারিখে উদ্বোধনের আগে প্রতিমার গায়ে পরিয়ে দেয়া হবে নানারকম গয়না। বিবিসি বাংলা
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি