নোয়াখালি থেকে : সহায়ক সরকার সংবিধানেই আছে। শেখ হাসিনার সরকারই আগামী নির্বাচনে সহায়ক সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার সকালে নোয়াখালির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯০ থেকে ২০১৭ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও শিক্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে লন্ডনের টেমস নদীর তীরে চলে গেলেন। বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ বলে এ বছর নাকি ওই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর?’
বিএনপির আন্দোলন এখন খালেদা জিয়ার ভ্যানিটি ব্যাগে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে দেশে ফিরে আসুক, তারপর দেখা যাবে। দুই ঈদ পার হয়ে গেলো, বিএনপি কোনও আন্দোলনে যেতে পারেনি।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের কেউ দলের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেনি। আমি অজপাড়া গাঁয়ের এই স্কুলের ছাত্র হয়ে এ পর্যায়ে এসেছি। আমি আশা করি তোমরাও আমার চাইতে অনেক বড় পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। যোগ্যতা অর্জনে লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ছেলেরা নয় মেয়েদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হয়ে আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা ক্রিকেট বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, এমনকি খেলাধুলার অবস্থানও পাল্টে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষিত, মেধাবী ও আদর্শবান লোকজন রাজনীতিতে আসলে রাজনীতি নষ্ট হবে না। খারাপ লোকেরা রাজনীতিতে আসলে রাজনীতি নষ্ট হয়ে যাবে। তারা এমপি মন্ত্রী হলে আমাদের অসম্মান হবে।’ এসময় তরুণ ও শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
এর আগে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে সার্বিক পরিবেশ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। ডাক্তার ও নার্সদের উপস্থিতি কম থাকার কারণে সিভিল সার্জনকে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন তিনি।
এমটিনিউজ/এসএস