নিউজ ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আপন ভাগ্নের ধর্ষণে সন্তানের জন্ম হওয়ার দাবি করেছে তার মামি। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ভিকটিম ২২ ধারা মতে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে জবানবন্দি দেন।
শিশুটির বাবা নির্ধারণে অভিযুক্ত ও শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার এসআই এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আদালতের অনুমতি পেলে তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। অভিযুক্ত নাজমুল আলম সোহান (১৬) সোনাইমুড়ীর কাইয়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির প্রবাসী মো: মোরশেদ আলমের ছেলে এবং চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। তবে তারা দীর্ঘ দিন থেকে চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছে।
পুলিশ, ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার আলাউদ্দিন ভিলার চতুর্থ তলায় বড় ননদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে যান। এসময় অভিযুক্ত সোহান তাকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূ এক মাসের এক কন্যাশিশু কোলে নিয়ে বেগমগঞ্জ থানায় এসে অভিযুক্ত ভাগ্নেকে ওই শিশুর বাবা বলে দাবি করলে পুলিশ এ ঘটনায় সোহানকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ওই গৃহবধূ অভিযুক্ত সোহানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত সোহান নির্যাতিতা গৃহবধূর আপন বড় ননদের ছেলে। ওই নারীর আরো একটি সন্তান রয়েছে। স্বামী সৌদি প্রবাসী।