বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। বহিষ্কার করলে সে দিনের মতো সেখানে (জিরো পয়েন্ট) গিয়ে শুয়ে থাকব। কাউকে সঙ্গে না পেলে একা থাকবো। জেলে দেবেন? আমি ’৮২ সাল থেকে জেল খেটে আসছি। তিতা হয়ে গেছি জেল খাটতে খাটতে। এগুলোকে ভয় পেয়ে লাভ নাই।’
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফজলুল হক প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গনে বৃহস্পতিবার বিকালে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রোমেলসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনার শাহদাত হোসেন চৌধুরী সাহেবকে বলেছি, নিরপেক্ষ ভোট করে দেওয়ার জন্য। প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে। আমি তাদের গোমর ফাঁস করে দিয়েছি। কিছু লোকের থেকে তারা মাসোয়ারা খায়, তবে সবাই খারাপ এটাও ঠিক নয়। প্রশাসন আজ মনে করে, শেখ হাসিনাকে আমরা বানাইছি, যা ইচ্ছা তাই করবো। রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির বিচার হয়, এতে মানুষ খুশি। কিন্তু প্রশাসনের লোক যে এটার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হয় না।’
মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘গরিব মানুষ সরকারি অফিসে গেলে ২/৩ হাজার টাকা দিতে হয়। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ কেউ আমাকে বলে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আসতে। আমি কি পাগল হয়ে গেছি? একজন পুলিশ কত টাকা বেতন পায়? চাকরি নিতে তাকে ৫ লাখ টাকা দিতে হয়। একজন স্কুলের পিয়নকে চাকরি নিতে ৫ লাখ টাকা দিতে হয়। সর্বত্র অনিয়ম। কবিরহাটে আমাদের কর্মীদের দিকে তাকানো যায় না। ৪/৫ জন সব লুট করে খাচ্ছে। এই কথাগুলো আমি বললে অপরাধ।’
প্রস্তাবিত জেলা কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকারের কাজের লোকের মূল্যায়ন না করি তাহলে, বাজে লোকের সৃষ্টি হবে। ত্যাগী লোকের স্বীকৃতি না দিলে ত্যাগী লোকের সৃষ্টি হবে না।’
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমাকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, অনেকবার জেল খেটেছি। আর মেরে ফেলবেন? সেটা শেষ। আমাদের পোস্টার বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীর লোকেরা ছিঁড়ছে না, ছিঁড়ছে ফেনী ও মাইজদী থেকে পাঠানো গুণ্ডাপাণ্ডারা। যারা অস্ত্র পাঠিয়েছেন, তারা এগুলো করছেন আমাকে উত্ত্যক্ত করতে। আমি সাহস করে সত্য কথা বলেছি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বলবো।’