নোয়াখালী: আলোচিত পৌর মেয়র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাকে বাদ দিয়েই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানের চরকাঁকড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল ছাড়াও বসুরহাট পৌরসভাসহ আট ইউনিয়নের নেতারা যোগ দেন।
অন্যদিকে বৈঠকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সাকলায়েন রিমনসহ বেশ কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দলের নেতাদের আসতে দেখা যায়। দুপুরে ওই বাড়িতে গরু জবাই করে ভোজেরও আয়োজন করা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন অফিসের আসবাবপত্র ক্রয় করা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ মোতাবেক জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকা, আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলের যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করা হয়।
এতদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা ও অনুষ্ঠানে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দেখা যেত। তবে আজকের বৈঠকে তিনি এবং তার সমর্থকদের কাউকে দেখা যায়নি।
এর আগে গতকাল সোমবার (১ মার্চ) কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগের বসুরহাট রূপালী চত্বরের কার্যালয় থেকে সব মালামাল সরিয়ে নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং পাশেই তিনি একটি ব্যক্তিগত অফিস করেন।
বৈঠক সম্পর্কে কাদের মির্জা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলের কর্মকাণ্ড স্থগিত ঘোষণা করেছে। সেখানে কিসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং। এগুলো অপরাজনীতির হোতারা দল বিভাজনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম বলেন, ‘দলের কার্যক্রম স্থগিত করলেও দলের রুটিন ওয়ার্ক করতে কোনো বাধা নেই। যেহেতু সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আর এতে দলের প্রার্থী মনোনয়নসহ কিছু আনুষঙ্গিক সিদ্ধান্তের জন্য এ বৈঠকে ডেকেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিষয়টি আমার জানা রয়েছে।