নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালীর-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, সারা নোয়াখালীতে আমার জনপ্রিয়তা দেখে ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের ভাই মির্জা কাদের সারাদিন বক বক করতেছিল। সে প্রথম আমাকে দিয়ে শুরু করেছে। যাইতে যাইতে সে তার ভাবি এবং ওয়ায়দুল কাদেরসহ দেশের কোনো নেতাকে বাদ দেয়নি। শেষ পর্যন্ত নেত্রীকে নিয়েও বলছে। সেই পাগলকে সামলাইতে যাইয়া কারণবশত কারো কারো সঙ্গে টেলিফোনে কথা হইতেই পারে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। একরামুল করিম বলেন, গত ছয় দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। আমি নেত্রীকে কতগুলো ম্যাসেজ পাঠিয়েছি, উনি সেগুলো দেখছেন। ঢাকায় যাওয়ার পর নেত্রীর সঙ্গে যিনি সব সময় থাকেন। তিনি আমাকে বললেন, নেত্রী আপনাকে এত ভালো জানেন। আপনি কেন ঢাকায় ঘুরতেছেন। আমি বলি যে আমাদের কমিটিটা দরকার। তিনি বলেন, নোয়াখালী চালায় কে? আমি কই নোয়াখালী চালাই আমি। নেত্রী কী আপনাকে না চালাতে বলছে। আমি বলি না। নেত্রী জানে যে আপনিই চালাবেন নোয়াখালী। আপনি যাই নোয়াখালী চালাতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, যারা অর্থের বিনিময়ে নমিনেশনের আশা করতেছেন। বিএনপি যেহেতু ভোটে আসবে না। এদিক-ওদিক যদি নৌকা চলেও যায়। আমি কিন্তু বেঠিক লোককে আমার জনগণকে আমি ভোট দিতে দেব না। যারা সঠিক লোক তাদের পক্ষে আমার অবস্থান থাকবে। একদম খারাপ লোক অর্থের বিনিময়ে নমিনেশন পাবে, তাকে ভোট দিবে এরকম দরকার নেই। কারা মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। এটা মানুষ ভুলে যায়নি। দুর্ব্যবহারকারীদের ভোট দেক, এটা এমপি হিসেবে আমি হতে দিতে পারি না। আমাদের দরকার জনগণের চেয়ারম্যান। আমাদের দরকার যে জনগণের পাশে থেকে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে পারবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আপন করে নিতে পারবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, চর আমান উল্যাহ ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, চর ক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার আজাদ, সুবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম রাজীব, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন জাবেদ প্রমুখ।