নোয়াখালী: নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভায় পৌর মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
কোম্পানিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১০-১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পৌরসভার দিক থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে তিনিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন, নিজাম উদ্দিন ও কনস্টেবল আলা উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ঝাড়ু মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হন।
শেষ দিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই পৌর মেয়র কাদের মির্জা সমর্থিত নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সভাস্থলের দুদিক থেকে একযোগে হামলা চালায়। এ সময় গুলি ও বোমার শব্দে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ছোটাছুটিতে ও লাঠির আঘাতে ৩০-৩৫ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মির্জা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে চরএলাহীর আবদুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ছেলে রাজুসহ (২২) অন্তত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
অন্যদিকে, পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা মোবাইল ফোনে দাবি করেন, পুলিশের লাঠির আঘাতে তার অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার একজন গাড়িচালক বোমায় আঘাত পেয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) কাদের মির্জা সমর্থিতরা বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত নেতাকর্মীরা উপজেলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন। বাজারে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজনও অবস্থান নিয়েছেন।