নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগেঞ্জর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাত কোম্পানীগঞ্জে অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মামা কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জে অগ্নিসন্ত্রাস চলছে উল্লেখ করে বিরোধী বলয়কে দায়ী করলেও তার ভাগ্নে সরাসরি তাকেই দায়ী করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা শনিবার সকালে ‘কোম্পানীগঞ্জে চলছে অগ্নিসন্ত্রাস’ এ শিরোনামে এক স্ট্যটাসে উল্লেখ করেন-অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস, খুন করে আমাকে থামাতে না পেরে এখন পুরো কোম্পানীগঞ্জে চলছে অগ্নিসন্ত্রাস। আমার সাথে থাকা নিরীহ কর্মীদের বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ করছে। তারই ধারাবাহিকতা আজ রাস্তার মাথায় গরীব নিরীহ কর্মী শিপনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এতে তার পুরো বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার নিরীহ কর্মীদের মামলা হামলা খুন করবে বলে ভয় দেখিয়ে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায় তারা। এখানে প্রশাসন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রশাসনের এমন ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
এদিকে শনিবার বেলা ৩ টায় কাদের মির্জার ভাগ্নে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতি উত্তরে একটি স্ট্যাটাস দেন।
'বসুরহাট পৌর সভায় আ কা মির্জার আগুন সন্ত্রাস' শিরোনামে তিনি উল্লেখ করেন-পরিকল্পিতভাবে নিজের সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তাদেরকে নগদ অর্থ অনুদান দিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার নতুন খেলা শুরু করেছেন আকা মির্জা। ইতিমধ্যে পূর্বে তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জে আগুন জ্বালানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য আর কত ঘৃণ্য অপকৌশল অবলম্বন করবেন? আর কত রক্ত ঝরলে আপনার রক্ত পিপাসা মিটবে? দল থেকে পদত্যাগের নাটক সাজিয়ে শাহাদাত হোসেনকে দিয়ে কোম্পানীগঞ্জে শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট করা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো এবং হত্যার চক্রান্ত করেছেন তা কোম্পানীগঞ্জবাসী প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো উল্লেখ করেন -প্রিয় কোম্পানীগঞ্জবাসী আমরা আমাদের প্রাণের কোম্পানীগঞ্জে শান্তি চাই, আর কোন সংঘাত চাই না। সব বিষয়ে আমাদের অভিভাবক আশার বাতিঘর, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদেরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।