নোয়াখালীর সদরে চরমটুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম মহতাপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে অনেক বার ধ'র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধ'র্ষণের মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম।
পুলিশ শনিবার (১ জানুয়ারি) দাউদ নামে একজন গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিম জানান, গত এক বছর থেকে ৯/১০ জন বিবাদি বিভিন্ন সময়ে তাকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধ'র্ষণ ও নি'র্যাতন করে আসছে। এ ব্যাপারে কাউকে জানালে প্রাণে হত্যা করবে বলে হু'মকি দেয়। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় জসিম (মেম্বার প্রার্থী), হাসান, হৃদয়, মুন্সীয়াসহ চারজন ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধ'র্ষণ করে। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবলুকে খুলে জানান। চেয়ারম্যান বিষয়টি শুনে তাকে থানায় পাঠান।
ভিকটিম আরো জানান, তার স্বামী ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে বাবুর্চির চাকরি করেন। সেই সুবাধে তাকে ঘরে একা পেয়ে এ ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা। তারা তাকে দীর্ঘদিন অত্যাচার, পাশবিক নি'র্যাতন ও পালাক্রমে ধ'র্ষণ করে আসছে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত চারজন ছাড়াও আরো কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তার অভি'যোগ, এর আগে ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বার রিয়াজ ও মসজিদ কমিটির নেতা ফয়েজসহ কয়েকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদেরকে আগে জানানো হয়নি, বরং অন্য সমাজকে জানানো হয়েছে। আমরা পরে শুনে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি এবং চৌকিদার দিয়ে মেয়েকে থানায় পাঠিয়েছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চরমটুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মহিলাটি আমার ইউপি অফিসে এসে আমাকে ঘটনার লোমহর্ষ'ক বর্ণনা দিয়েছেন। পরে আমি অসহায় মহিলাটিকে থানায় আইনগত ব্যবস্থার আশ্রয় নিতে বলি।’ সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং পুলিশ দাউদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।