নোয়াখালী থেকে : ৭ম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে 'সাজানো' আখ্যায়িত করে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকের নির্বাচন ওবায়দুল কাদের সাহেবের প্রশাসনের সাজানো। তিনি ভাগিনাদের জন্য এমন খেলা খেলেছেন। যারা টাকা দিয়েছে তারাই চেয়ারম্যান হয়েছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন। লাইভে কাদের মির্জা বলেন, আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। আসলে আমাদের জন্য রাজনীতি আসেনি। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কোনো সন্তান নেই। আমার ছেলেকে দুইবার আঘাত করেছে। ওবায়দুল কাদের হিংস্র। তিনি একবারও দুঃখ প্রকাশ করেননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি ওই পৌরসভায় চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। কাদের মির্জা আরও বলেন, সত্য বচন অনেক কঠিন কাজ। আমি কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। যতদিন বাঁচব ততদিন সত্য কথা বলে যাব।'
এসময় কাদের মির্জা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এই নির্বাচন হবে জানলে এই নির্বাচনের সঙ্গে জড়াতাম না। এই এলাকায় ডিসি–এসপির সাজানো নির্বাচন আজ এখানে হয়ে গেছে। চরের ভূমি দখলের মতো ভোটকেন্দ্র দখল হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী মহোদয়ের (ওবায়দুল কাদের) তিন ভাগনেকে জেতানোর জন্য যা যা করা দরকার, তা করা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদেরের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘গোলাগুলি করে হিন্দু ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে না দিয়ে এখানে (চর পার্বতী ইউপি) জামায়াতের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য সহযোগিতা করেছে এখানকার প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত এখানে চেষ্টাও করেছে তার ভাগনেকে জেতানোর জন্য। সে ৩ নম্বর ছিল বিধায় সেটা সম্ভব হয়নি। চর ফকিরাতে তিনটি কেন্দ্র দখল করে মন্ত্রীর আরেক ভাগনে জায়দুল হক কচিকে সেখানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।'
কাদের মির্জা আরও বলেন, ওবায়দুল কাদেরের সাজানো নির্বাচন আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা আগামীকাল আমাদের নেতাদের নিয়ে বসব, সিদ্ধান্ত নেব। আজ আমাকে দাফন করেছে কোম্পানীগঞ্জ। আমার ৪৮ বছরের রাজনীতি। জীবনে রাজনীতিতে কোনো পদ পদবিতে যেতে পারিনি, সে দেয়নি। ওবায়দুল কাদের সাহেবেরা পারে না, এমন কোনো কাজ নেই। এটা তাদের পক্ষেই সম্ভব।