এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : সৌদি আরবে কর্মস্থলে মারা যাওয়ার সাড়ে ৫ মাস অতিক্রম হলেও জায়েদ (২৬) নামে এক যুবকের মরদেহ এখনো দেশে আসেনি। একইদিন একই ঘটনায় কুমিল্লার বাসিন্দা নজরুল হকও মারা যান।
জায়েদের অসুস্থ বাবা ইউসুফ ওরফে আশ্বাদ মিয়াসহ পরিবারের লোকজন মরদেহটি লক্ষ্মীপুরে আনার জন্য আকুতি জানিয়েছেন। তার মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবেদনের পর একাধিকবার সময় দিলেও সংশ্লিষ্ট দফতর তাদের মরদেহ দেশে আনতে পারেনি।
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নন্দীগ্রামের জমাদ্দার বাড়িতে গেলে বাবার সঙ্গে কান্না করছিলেন জায়েদের বড় বোন মারজাহান আক্তার।
জানা গেছে, জায়েদ শ্রমিক ভিসায় ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি চাকরির উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে যান। সৌদিতে জায়েদ একটি পানি সাপ্লাইয়ের কোম্পানিতে কাজ করতেন। গত ২৩ মে জেদ্দা শহরের ম্যানহোলে কাজ করতে গিয়ে মারা যান জায়েদ ও তার সহকর্মী নজরুল।
তাদের মরদেহ প্রায় সাড়ে ৫ মাস ধরে সেখানে জার্মান হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষিত রয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তাদের মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের যুগ্ম-সচিব শোয়াইব আহমাদ খান বলেন, আমরা সৌদি আরবের জেদ্দায় কনস্যুলেট জেনারেল অব বাংলাদেশ কাউন্সেলরের (শ্রম) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
সেখান থেকে তারা চিঠি ফেরত পাঠিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী দুই মাস পর আবার চিঠি পাঠাতে হবে। তবে আমরা এর আগেই চিঠি পাঠিয়ে মরদেগুলো দেশে আনার জন্য চেষ্টা করব।