এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র ও অস্ত্রোপচার করা এক ভুয়া চিকিৎসককে রোগী সেজে ধরেছেন নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ সময় কোনও প্রাতিষ্ঠানিক সনদ দেখাতে না পারায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১০ মে) দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জহুরুল হক গ্যারেজের পাশে জাহান কটেজে অভিযান পরিচালনা করেন সদরের ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসকের নাম মাইন উদ্দিন সবুজ (৪০)। তিনি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছেন। দীর্ঘ চার বছর ধরে চিকিৎসক হিসেবে বিভিন্ন রোগীদের ব্যবস্থাপত্র ও সার্জারি করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জহুরুল হক গ্যারেজের পাশে জাহান কটেজের নিচতলায় বাসা ভাড়া নিয়ে চেম্বার করেন তিনি। নিজের নামের পাশে বিভিন্ন ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে প্যাড বানান। যা ব্যবহার করে নিয়মিত ব্যবস্থাপত্র ও অস্ত্রোপচার করতেন।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুরে সিরিয়াল দিয়ে ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ নিজেই রোগী সেজে সেখানে হাজির হন। এ সময় তিনি ওই ভুয়া চিকিৎসকের সনদপত্র দেখতে চান। কিন্তু দেখাতে পারেননি। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে সিরিয়াল দিয়েছি। যখন চেম্বারে যাই তখন ডাক্তার ভেতরে আছেন বলে আমাকে জানায়। এরপর সনদ চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। মূলত তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ালেখা করেছেন বলে আমাদের জানান।
তিনি আরও বলেন, স্বীকার করেছেন ৩-৪ বছর ধরে এভাবে চিকিৎসক হিসেবে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভুয়া চিকিৎসক প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা শহরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এরা মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। মানুষ এদের কাছে এসে প্রতারিত হচ্ছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী সার্জন ডা. ফাত্তাহেল আলীম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র দে-সহ আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।