শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৯:২০:৪১

প্রথমে মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন, তারপর যা হলো...

প্রথমে মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন, তারপর যা হলো...

এমটিনিউজ ডেস্ক: মোবাইলে প্রথম পরিচয়। এরপর এক বছর যাবৎ কথা বলার পর তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। ভালোবাসার সেই সর্ম্পককে প্রণয়ে রূপ দিতে চলে আসেন প্রেমিকের বাড়িতে। এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন। অতঃপর নিয়তিকে ভরসা করে সেই অন্ধ প্রেমিককেই বিয়ে করেন দুই সন্তানের মা রেবা আক্তার সুমি (২৬)।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ খবর শুনে এলাকার লোকজন দৃষ্টিহীন মো. রাসেলের (২৮) বাড়িতে ভিড় করছেন।

প্রেমিক দৃষ্টিহীন মো. রাসেল উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের বাসিন্দা। প্রেমিকা সুমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

রাসেলের বড় ভাই জামসেদ জানান, এ বিষয়ে তারা আগে থেকে কিছুই জানতেন না। গত শনিবার হঠাৎ সুমি তাদের বাড়িতে এসে হাজির হন। রাসেল দৃষ্টিহীন, তিনি কোনো উপার্জন করেন না। সংসার চালানোর মতো সামর্থ্যও তার নেই। এসব জানার পরও রাসেলকে বিয়ে করতে চান সুমি। পরে দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাতিয়া থানায়। থানা থেকে সুমির বাড়িতে যোগাযোগ করা হলেও তার পরিবারের কেউ সাড়া দেননি। পরে বৃহস্পতিবার দুজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়।

সুমি বলেন, তার দুটি সন্তান আছে। আগের স্বামী ট্রাকচালক। তার সঙ্গে দুই বছর আগে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এসব জেনেও রাসেল তাকে বিয়ে করবেন বলে জানান। রাসেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এটা আমি আগে জানতাম না। চোখে সমস্যা আছে বলে রাসেল আমাকে মোবাইলে জানান। কিন্তু একেবারে দৃষ্টিহীন, এটা কখনো বলেননি। এখন যেহেতু চলে এসেছি, তাই নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়েই তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলাম।

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, সুমির আগের স্বামীর সঙ্গে কিছু দিন আগে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর তিনি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে রাসেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুমির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তার অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা কেউ আসেননি। পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।  

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে