এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ছাত্রদল নেতাকে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম মাসুম (২৭) একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যু্গ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানায়, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় কাঁচিহাটা বাজারের পাশে একটি ঘরে স্থানীয় এক যুবক ইয়াবা সেবন করছিল।
ওই সময় কিছু যুবক তাকে আটক করে। তখন পাশেই ছিল ছাত্রদল নেতা মাসুম। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদকসেবীকে মারধর করতে উদ্যত হয়। তখন একই এলাকার শিবিরের কয়েকজন লোক মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মাসুমকে জানায়, বিষয়টি বিকেলে তারাসহ বসে সমাধান করে দেবে।
তারা যেন আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নেতারা আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়।
সন্ধ্যার দিকে মাসুম কাঁচিহাটা বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। সেখানে কয়েকজন ছেলে এসে তাকে মারধর করে।
এরপর সে একটি ফার্মেসি দোকানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে যায়। পরে ওই দোকানে কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে পুনরায় মাসুমের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ওপরে একটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরবর্তীতে মাসুমের বাম পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন জানান, বিষয়টি আমি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলমকে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে ছেলেটাকে সকালে মারধর করা হয়েছে তিনি জামায়াত রাজনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত। অনেক আগে সে ছাত্রদল করত। গত ছয় মাস আগে সে জামায়াতে যোগদান করে। এজন্য সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কাহারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করছে বিষয়টি জানেন না, তিনি আরো জানান ইয়াবার তো প্রশ্নই আসে না। মামলা সাজানোর জন্য ইয়াবার কথা আসছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গুলিবিদ্ধ যুবক ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।