এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গলায় ফাঁস দেওয়ার রশি নিয়ে অনশনে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা। জেলার হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিক সোহেল উদ্দিন (২৫) উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে। ভুক্তভোগী অন্তঃসত্বা কিশোরী সীমা আক্তার পারুল (১৬) একই গ্ৰামের শামছুদ্দিনের মেয়ে।
গত দুইদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে কিশোরীর বিয়ের দাবিতে অবস্থান করলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে প্রায় দেখা হতো দুজনের, ছেলের হুমকি ধামকির ভয়ে বাধ্য হয়ে জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। কয়েক মাস পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক করেন শা-রি-রী-ক স-ম্পর্ক। ছবি তুলে ব্লা-কমে-ইল করে দিনের পর দিন শা-রী-রিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে অ-ন্তঃস-ত্ত্বা হয়ে পড়েন কি-শোরী পারুল।
ভুক্তভোগীর পারুল জানান, সোহেলের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমি দেড় মাসের অ-ন্তঃস-ত্ত্বা। পেটের সন্তান ন-ষ্ট করতে সে আমাকে মেডিসিন দেয়। মেডিসিন সেবন না করায় সে আমাকে মারধর করে, এক পর্যায়ে বিয়ে করবেনা বলেও জানিয়ে দেয়। এখন যদি সে আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করব। ওই সময় তার হাতে একটি সাদা রশিও দেখা যায়।
অভিযুক্ত সোহেলের সঙ্গে কথা বললে প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল বলেন, সীমার পরিবারের সঙ্গে কথা চলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। সমাধান না হলে ভুক্তভোগী ও তার পরিরবার আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
হাতিয়া থানার ওসি একে এম আজমল হুদা বলেন, বিষয়টা শুনেছি। আমাদের একটা টিম ওই এলাকায় গিয়েছে। তারা লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করছে বলে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।