শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:৩৫:২৬

সুনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ

    সুনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ

আরাফাতুর রহমান, নোয়াখালী প্রতিনিধি: সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০ বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এতে গর্ভবতী ও রোগীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সংশিল্ট কতৃপক্ষের গাফিলতি ও ক্লিনিক বানিজ্যের কারণেই ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘদিন ধরে এ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।
২০০৫ সালে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিভক্ত হয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা গঠিত হয়। এরপর সাবেক বেমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামে পরিবর্তন হয়। ২০১৩ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম হয়ে আসছে। হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক, অপারেশন থিয়েটার ও অপরেশনেরে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। ১০ বছর ধরে এগুলো না হওয়ায় অলসভাবে পড়ে আছে। হাসপতালের গাইনি বিভাগের একজন নারী চিকিৎসককে জুনিয়র কনসাল্ট্যান্ট হিসাবে পদায়ন করা হলেও অপারেশনের জন্য অ্যানেসথেশিয়া পদায়ন না করায় না করায় গত ১০ বছর ধরে এ হাসপাতালে সিজারিয়ানসহ কোনো প্রকার অপরেশনই হচ্ছে না। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা সোনাইমুড়ী ও চৌমুহনী পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতলে গিয়ে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ডেলিভারি কারচ্ছেন।
    
হাসপাতালে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগী বজরা ইউনিয়নের সাকিলপুর গ্রামের সাহিদা আক্তার বলেন, দু দিন হাসপাতালে থাকার পর চিকিৎসক তাকে অপারেশনের জন্য নোয়াখালী জেলা সদরে রেফার করেছেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরিনা মাহমুদ বলেন, অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন করা যাচ্ছে না। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মজিবুল হক বলেন, গাইনি চিকিৎসক, অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও শুধু একজন অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে সব ধরনের চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।  
১৫ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে