নরসিংদী : সন্তানের পিতা কে? পিতৃত্বের দাবি নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি! বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই নরসিংদীর আদালতপাড়াসহ শিবপুর থানা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এক নারীর স্বামীর দাবিদার দুজন। ওই গৃহবধূর এক সন্তানের পিতৃত্বের দাবি নিয়েও বর্তমানে আইনি লড়াই চলছে।
হাসনারা আক্তার হাসি নামে এক নারীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন দুজন। আর সেই দুই স্বামী হলেন হলেন মনোহরদী উপজেলার ফখরুদ্দিন ওরফে আকন্দ মামুন ও শিবপুরের খোকন মিয়া। এদিকে সন্তান ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক বাবা। পিতৃত্বের দাবি নিয়ে সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে সন্তানের মায়ের বিরুদ্ধে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার প্রথম দশানীপাড়ার মেলাইল্যাবাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে হাসনারা আক্তার হাসি বর্তমানে ঢাকার কদমতলী থানার মেরাজনগরে বসবাস করছেন। ১০-১২ বছর আগে মনোহরদী উপজেলার চক তাতারদী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে ফখরুদ্দিন ওরফে আকন্দ মামুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
মামুন মালয়েশিয়া থাকার সময় হাসি অনেক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তারর সর্বশেষ শিকার শিবপুর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত সালাম সরকারের ছেলে খোকন সরকার। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে কদমতলীর মেরাজনগরে হাসি তার মা-বাবা, ভাই ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন।
স্বামী মামুন দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় থাকার পর এক বছর আগে দেশে ফেরেন। তবে হাসির এক বছর তিন মাসের ছেলে মাসুম মুছার পিতৃত্বের দাবি নিয়ে আদালতে মামলা করেন নরসিংদীর খোকন মিয়া। খোকন মিয়া বলেন, ‘২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল আমরা বিয়ে করি। সংসার জীবনে হাসির গর্ভে আমার সন্তান জন্ম নেয়।’
খোকন আরো বলেন, আমি কিছুই চাই না। কেবল আমার সন্তানের স্বীকৃতি চাই। সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। ডিএনএ পরীক্ষা করলেই তো সব প্রমাণ হয়ে যাবে। এদিকে ওয়ারেন্ট জারি হলেও পুলিশ হাসিকে গ্রেফতার করছে না। উল্টো হাসি আমার বিরুদ্ধে ৭ ধারায় মামলা করেছেন বলেও জানান খোকন।
এ বিষয়ে হাসি বলেন, খোকনের সঙ্গে আমার পরিচয় ডেসনিটিতে কাজ করার সময়। সে একটা প্রতারক। আমার টাকা মেরে দেয়ার জন্যই নানা ধরনের নাটক করছে সে।
ওই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন গত ৬ সেপ্টেম্বর নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দনকান্তি নাথের আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১৬ অক্টোবর আদালত হাসির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। তাকে গ্রেফতারে সহায়তা চেয়ে শিবপুর থানা থেকে তারবার্তায় কদমতলী থানায় ওয়ারেন্টের একটি কপি পাঠানো হয়।
২৪ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি