মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ০৬:২৫:৩৫

আবারো বন্ধ হয়ে গেছে পলাশ ও ঘোড়াশাল সার কারখানার উৎপাদন

আবারো বন্ধ হয়ে গেছে পলাশ ও ঘোড়াশাল  সার কারখানার উৎপাদন

তারেক পাঠান, পলাশ প্রতিনিধিঃ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় আবারো বন্ধ হয়ে গেছে নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানার সার উৎপাদন। দেশে গ্যাস সংকটের কারণে ১৪২২ ও ৩০৫ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন সার কারখানা দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে কারখানার একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিসিআইসির অধীনস্থ সার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায়  সারকারখানা দুটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।

সারকারখানা সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াশাল সার কারখানার উৎপাদনক্ষমতা এক হাজার চারশত ২২ মেট্রিক টন। পলাশ সার কারখানার উৎপাদনক্ষমতা ৩০৫ মেট্রিক টন। সরকারী সিদ্ধান্তে প্রতিবছরই গ্রীষ্মকালে সার কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ রাখে তিতাস কর্তৃপক্ষ। কারখানা দুটির উৎপাদন বিভাগ থেকে জানা যায়, এভাবে চলতে থাকলে চলতি বছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে এবং দেশীয় ইউরিয়া সারের ঘাটতি দেখা দেবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পলাশ সার কারখানার সিবিএর সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, কারখানা দুটি কেপিআই মান-১ বিশিষ্ট উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন সার কারখানা। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ও উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এ ছাড়া উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন কারখানার বিভিন্ন ভেসেলের মূল্যবান ক্যাটালিস্ট সংরক্ষণ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় কারখানাগুলো আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কারখানার গ্যাস প্রত্যাহারের কারণে উৎপাদন বন্ধ হলে শ্রমিক-কর্মচারীরা কর্মোদ্যম হারিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এভাবে একের পর এক দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানার ফিক্সড কস্ট ব্যয় অব্যাহত থাকায় তারল্য সংকট দেখা দেয়। ফলে লাভজনক প্রতিষ্ঠান লোকসানের সম্মুখীন হয়।

এ বিষয়ে ঘোড়াশাল সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশলী) অমর কুমার বিশ্বাস বলেন, গ্যাস প্রত্যাহার করে নেওয়া সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়ার পর পুনরায় কারখানা চালু হবে। তবে কবে নাগাদ কারখানা চালু করা হবে তা জানাতে পারেননি তিনি।

সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিসিআইসি নিয়ন্ত্রনাধীন এই কারখানা দুটি গত বছরের ৩১ মার্চ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিলে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর  ৬ অক্টোবর গ্যাস সংযোগ দেয়া হলেও বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে কারখানার উৎপাদন পূর্ণমাত্রায় শুরু হলে সোমবার (১৭ এপ্রিল) থেকে গ্যাস বিচ্ছিন্ন করার ফলে পুনরায় বন্ধ হয়ে যায় কারখানা দুটির উৎপাদন।
১৮ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে