মোঃ তারেক পাঠান পলাশ থেকে: নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ১৩ নং খাসহাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে করা হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ভবন না থাকায় অর্ধশত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ টিনের ঘরে ক্লাস করছে । এতে আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকরা।
এছাড়া শ্রেণি কক্ষটি জরাজীর্ণ হওয়ায় এতে বৈদ্যুতিক লাইট ও পাখার ব্যবস্থা করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভিজে ক্লাস করতে হচ্ছে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। একটু বৃষ্টি হলেই ক্লাস রেখে অফিসকক্ষের বারান্দা কিংবা অন্য শ্রেণিকক্ষে গিয়ে উঠতে হয় তাদের।
১৯৩৯ সালে গাজারিয়া ইউনিয়নের খাসহাওলা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। এরপর ১৯৭৩ সালে এটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে এতে ২৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়টি বরাবরই শতভাগ পাসসহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিতে উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে আসছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেও এর অবকাঠামে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। বিদ্যালয়ে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতলা ভবন রয়েছে। শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৬টি কক্ষে পাঠদান করতে গিয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভবনের পাশে অবস্থিত একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে ক্লাস করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের আনিসুর রহমান নামে এক অভিভাবক জানান, এই বিদ্যালয়টিতে আমি পড়ালেখা করেছি, এখন আমার মেয়ে এখানে পড়ছে। মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পর থেকে আতঙ্কে থাকি এই ভেবে কখন যানি র্দুঘটনার শিকার হয়।
প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতেমা লিনা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ভাল হওয়ায় দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। ভবনের অতিরিক্ত শ্রেণি কক্ষ না থাকায় একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাশের টিনের ঘরে ক্লাস করাতে হচ্ছে।
এ ছাড়া ঘরটি খোলামেলা হওয়ায় এতে কোন লাইট ও পাখা লাগাতে পারছিনা। বিদ্যালয়ে নতুন একটি ভবন অতিজরুরি হয়ে পড়েছে। ভবনের বিষয়টি একাধিকবার শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) সোরহাব হোসেন জানান, উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন চেয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ নং খাসহাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে। আশাকরি এবছরই অনুমোদন হয়ে আসবে।
০৩ আগস্ট ২০১৭/এমটনিউিজ২৪ডটকম/ প্রতিনিধি/আ শি