নিউজ ডেস্ক : তিন বছর বয়সের এই শিশুটিকে রেখে বোনের মৃত্যু হয়েছে ইজিবাইকের মর্টারে ওড়না পেচ লেগে। বোনকে হারিয়ে শিশুটি তার কোনো ঠিকানা বলতে পারছে না। শুধুই কাঁদছে। আর বলছে ‘আমি আপুকে নিয়ে বাড়িতে যাবো। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল-আঠারবাড়ি সড়কে। নিহত তরুণীর কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে সঙ্গে থাকা শিশুটি জানায় নিহত তরুণী তার বোন। বাড়ি নরসিংদী। তার বাবার নাম শফিক বলে জানায়।
এ ঘটনার পর পুলিশ নান্দাইল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে শিশুটি উদ্ধার করে থানায় আনার চেষ্টা করলে শিশুটি বলে ‘তার বোন ঘুমাচ্ছে-সজাগ হলেই বোনকে নিয়ে বাড়ি যাবে। ‘ এ সময় শিশুটি বোনের একটি ব্যাগ নিজের কাছে আগলে রাখে।
আর ফেল ফেল করে উত্সুক লোকজনের দিকে চেয়ে থাকে। এ সময় এলাকাটিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওই তরুণী সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডীপাশা চৌরাস্থা বাজার থেকে একটি ইজিবাইকে উঠে নান্দাইল সদরে আসার জন্য। পথিমধ্যে চন্ডীপাশা এলাকার পানির ট্যাংকি নামক স্থানে আসতেই ইজিবাইকের মর্টারে ওই তরুণীর গায়ের ওড়না পেচিয়ে যায়। ইজিবাইক চালক নবী হোসেন জানান, চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ মেয়েটি তাঁর শরীরের ওপর পড়ে যায়। পড়ে দেখতে পান তাঁর গায়ের ওড়নার একটা অংশ মর্টারে লেগে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গলা থেকে ওড়নাটি কেটে অচেতন অবস্থায় পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে মাথায় পানি ঢাললে অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হলে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিত্ক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ অবস্থায় নিহত তরুণীর সঙ্গে থাকা তিন বছর বয়সের শিশু নিজের নাম সোহান বলে জানায়। সঙ্গে তরুণী তার বোন সোহাগী বলে ও বাড়ি নরসিংদী এবং বাবার নাম শফিক ও নানার নাম নুরুল ইসলাম বলতে পারে। বর্তমানে নিহতের লাশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানায় রয়েছে।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস