বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ০৮:২৯:২৪

ঈদের আগে গরু চুরির হিড়িক-পুলিশ বলছে কিছুই জানিনা !

ঈদের আগে গরু চুরির হিড়িক-পুলিশ বলছে কিছুই জানিনা !

তারেক পাঠান নরসিংদী প্রতিনিধি:  নরসিংদী পলাশে কুরবানির ঈদ কে সামনে রেখে  গরু চুরির হিড়িক পরেছে ।  পুলিশ বলছে কিছুই জানিনা । কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে পলাশ উপজেলায় গুরু চুরি তত বাড়ছে । মাএ কয়েক দিন ব্যাবধানে গজারিয়া ইউনিয়নের খাসহাওলা ও জয়পুরা গ্রামের অসহায়-গরিব কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে ৫টি গুরু চুরি হয়েছে ।  সম্প্রতি মঙ্গলবার দিবা গত রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৬৫) পিতা গাফুর ভূঁইয়ার বাড়ির গোয়াল  ঘর থেকে ৬০ হাজার টাকা মূলের ৩টি গুরু চুরি হয়েছে । তার রেস কাটতে না কাটতেই সোমবার দিবা গত রাতে একই ইউনিয়নের  খাসহাওলা গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাস (৭০) পিতা উপন চন্দ্র দাসের বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা মূলের আর ও ২ টি গরু চুরি হয়েছে । এই ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর  মাঝে আতষ্ক বিরাজ করছে।

কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ,অনেক যতœ করে গুরু তিনটি পালন করেছিলাম । প্রতি দিন রাতে গরু তিনটি গোয়াল ঘরে বেধে রাখি  সকালে বাহির করি । কিন্তু  গরু তিনটি চুরি হওয়ার দিন  রাতে গোয়াল ঘরে গরু বেধে রেখেছিলাম । সকালে গোয়াল ঘর থেকে গরু বাহির করতে দেখি গোয়াল ঘর শূন্য । কোন গরু নেই। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানানো হয়েছে । ভাই কি আর বলব  এবার মনে হয় আমাদের পরিবারের কার ও কোরবানির ঈদ আর করা হবে না , একই ইউনিয়নে গরিব কৃষক উপনের ভাই বলেন,আমরা শেষ হয়ে গেছি ।আমাদের বাঁচার মত আর কিছু সম্ভল নাই । আমার বাড়ির ভিতরে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ২টি গরু চুরি হয়েছে । বিষয়টি তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানানো হয়েছে ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গজারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: বদরুজ্জামান ভূইয়া বলেন,আমি জানতে পেরেছি গরু চুরির উপদ্রব বেড়েছে । তাই  আমার ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডের লোক জনকে পাহাড়া দেওয়ার পরার্মশ দিয়েছি ।

গুরু চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে, গজারিয়া ইউনিয়নের ছাএলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম (ইফতি) জানান ,গজারিয়া ইউনিয়নের তালতলি হয়ে ঝালকাটা বাজার পর্যন্ত পাঁকা রাস্তাটি  খুবই নিরব ও নিরর্যন । রাস্তার উওর পাশে শিবপুর উপজেলা । রাস্তাটি নিরব ও নিরর্যন থাকায় পুলিশ ও ঠিক মত টহল দিচ্ছে না । আমার মনে হয় ,গরু চুরেরা এই রাস্তাটি বেশি ব্যবহার করে । তাই এই ইউনিয়নের শুধু মাএ পাঁকা রাস্তার পাশের বাড়ি থেকেই কয়েক দিন ব্যবধানে দুই বাড়িতে এত বড় গরু চুরি সংঘটিত হয়েছে।

ইছাখালি গ্রামের যুবলীগের যুগ্ম সহসভাপতি আনিসুর রহমান ও রিপন সাহেবসহ এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন ,চোরের উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি আমরা । চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহাড়া বসালে ও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। অনেক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড পুলিশ প্রশাসন কঠোরভাবে নিলে ও গরু চোরদের ব্যপারে তেমন আমলে না নেওয়ায় দিনদিন তাদের উৎপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই বিষয়ে একটু বেশি নজরদারী দেয় তাহলে অসহায়-গরিব মানুষেরা অনেক-অনেক উপকৃত হবে ।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, গরু চুরির বিষয়ে  আমি কিছুই জানি না ? এ ব্যপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই । আপনি বলার পর আমি জানতে পারলাম ।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/প্রতিনিধি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে