তারেক পাঠান নরসিংদী প্রতিনিধি: আবারো উত্তাল পলাশ! রোহিঙ্গা মুসলমানের উপর গণহত্যা বন্ধের দাবিতে এবার হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ- সমাবেশ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর স্বরণকালের বর্বরুচিত হামলা, হত্যাকাণ্ড, নারী ও শিশুদের উপর অমানুবিক নির্যাতন,অবিলম্বে বন্ধের দাবিও জানান, বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার মানুষ।
আজ (শুক্রবার) বিকেলে পলাশ উপজেলার হেফাজত ইসলামের,আল খিদমাহ ওলামা পরিষদের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি গজারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার হয়ে তাতলী বাজারে সমাবেশ করে সংগঠনটি। তালতলীতে বিক্ষোভ মিছিল,সমাবেশে এলাকার হাজারো মুসল্লিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজত ইসলামের পলাশ উপজেলার সভাপতি হেদায়েত ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো: ইছমাইল, আল খিদমাহ ওলামা পরিষদের গজারিয়া ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক প্রমুখ সহ বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতাগণ ।
তালতলী বাজারের বিক্ষোভ সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বত্তৃতার হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, সারাবিশ্বের মুসলমানদের শরীর এক, তাই রোহিঙ্গা মুসলমানদের শরীরে আগুন তথা সারা বিশ্বের মুসলমানদের শরীরে আগুন দাউ দাউ করে ঝলছে। বর্মী সেনারা যে ধরনের অত্যাচার নির্যাতন এবং গণহত্যা ও গ্রামের পর গ্রামে অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে তা বিশ্ব বিবেকেও হার মানায়। এর চেয়ে চরম মানবাধিকার লংঙ্গন আর কি হতে পারে। নেতারা অবিলম্বে সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে এক হওয়ারও আহবান জানান। আবিলম্বে শেখ হাসিনা সরকারকে ও এর করা প্রতিবাদ করার জন্য অনুরোধ জানান ।
বিক্ষেভ সমাবেশে হেফাজত ইসলামের নেতারা আর ও বলেন,আমাদের নেতা আল্লামা শফীর নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধে যেতে চাই। আমাদের মুসলিম ভাইদেও বাঁচাতে চাই । সরকার আমাদের সহযোগীতে করুক,। নেতারা বলেন, রোহিঙ্গা মায়েদের মৃতু আহাজারি বিশ্ব মানবাধিকারে পৌঁছায়নি? তারা মায়েদের গর্ভে জন্ম নেয়নি? তবে কেন এই নিষ্ঠুর নির্বিচার গণহত্যা ? নির্যাতনের প্রতিবাদ কেন করছে না ?। তারা কি জবাব দিবে আল্লাহর কাছে ?। কেন ৫টি মুসলিম রাষ্ট্র ছাড়া বাকিরা কথা বলছে না। অবিলম্বে মুসলিম বিশ্ব নেতাদের এক হয়ে এর সমাধান কামানা করেন। পরিশেষ বিক্ষোভ মিছিল,মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি করা হয়।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/প্রতিনিধি