 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
উত্তাল মেঘনায় ১৫ কিলোমিটার সাঁতরে চমক সৃষ্টি করেছেন ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধ। পরে প্রাপ্ত পুরষ্কারের দেড় লাখ টাকা স্থানীয় একটি মসজিদ নির্মাণে দান করার ঘোষণা দেন তিনি। আজ সোমবার সকাল ৮টায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা ইউনিয়নের মনিপুরাঘাট থেকে শুরু হওয়া সাঁতার দুপুর ১২টায় শেষ হয় নরসিংদীর সদর উপজেলা ঘাটে পৌঁছালে। এতে তিনি সময় নেন চার ঘন্টা। শহিদুল ইসলাম নামে ওই বৃদ্ধ উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের দঁড়িবালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন কৃষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাঁতরে রায়পুরার মনিপুরাঘাট থেকে নরসিংদী সদর ঘাট পৌঁছাতে পারলে দেড় লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দেয় গ্রামবাসী। এতে রাজি হন কৃষক শহিদুল। আজ সোমবার সকালে উপজেলার মনিপুরা ঘাটে ও নদীতে নৌকা নিয়ে সহস্র উৎসুক জনতা শহিদুলের সাঁতার দেখতে ভীড় জমান। উত্তাল মেঘনায় টানা চারঘন্টা সাঁতার কাটেন তিনি। এক সময় ঠিকই পৌঁছে যান কাঙ্খিত লক্ষে। তার এমন জয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় গ্রামবাসী। পুরস্কারে পুরো দেড় লাখ টাকাই মসজিদ নির্মাণে ব্যয় করবেন বলে জানান শহিদুল ইসলাম।
জানা গেছে, এর আগে পল্লীচিকিৎসক বকুল মিয়া ৩৫ কিলোমিটার সাঁতরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে উপজেলার মনিপুরা ঘাটে পৌঁছান। এতে তিনি সাড়ে ছয় ঘন্টা সময় নেন। পরে ওই ঘটনায় উদ্ধুদ্ধ হয়েই এই সাঁতারে অংশগ্রহণ করেন শহিদুল।
স্থানীয় কাউছার জানান, শেষ পর্যন্ত সাঁতার কাটা দেখেছেন তিনি। ওই সময় বৃদ্ধ শহিদুলের শরীরের কোন ক্লান্তির ছাপ লক্ষ্য করেননি বলে জানা তিনি। যদিও প্রথমে মনে হচ্ছিল পারবেন না শহিদুল। পরে ঠিকই পাড়ি দিয়েছেন ১৫ কিলোমিটার। ইচ্ছে থাকলে বয়স কখনো বাঁধা হতে পারেনা। এ ঘটনায় তা প্রমাণিত হয়েছে জানান কাউছার।
সাঁতারু শহিদুল ইসলাম তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল মেঘনা পাড়ি দিবো। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় ভালো লাগছে। সামনে আরো বহুপথ পাড়ি দিতে চান শহিদুল।