শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ১১:৫২:৫২

দফায় দফায় হামলা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে

দফায় দফায় হামলা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নরসিংদীর আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকারের বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় ও শুক্রবার (১১ জুলাই) নরসিংদী সদর উপজেলার বাখরনগর গ্রামে কয়েক দফা হামলার ঘটনা ঘটে।

 ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের খবরে এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। বিকেলে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের হয়। এতে বাখরনগর গ্রামের বিএনপি কর্মী ঈশা খাঁ, মুসা খা, মুকবুল, ইকবাল, টুক্কু মিয়া, কালন মিয়াসহ অনেকে অংশ নেন।

এরই জেরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বহিষ্কৃত আব্দুল কাইয়ুম সরকারের অনুসারী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই বিএনপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বাতেন মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (৩৫), যুবলীগ কর্মী কাইয়ুম মিয়ার ছেলে রাকিব (২৭), সাবেক ইউপি সদস্য ফটিক মিয়ার ছেলে রুবেল (৪০), স্থানীয় বাতেন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৫), শীতল মিয়ার ছেলে ফারুক (৩৫) প্রমুখ।

হামলার সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও চাঁদা দাবি করে। হামলায় বিএনপি কর্মী আবু সাইদ ও কালন মিয়া গুরুতর আহত হন। তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলায় প্রায় ৪-৫টি টিনের ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অন্তত দশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মান্নান সরকার বলেন, ‘আমার ধারণা, আমাদের বাখরনগর গ্রামটি যেন দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া। তা না হলে আওয়ামী লীগের পদ-পদবি থাকার পরও কিভাবে তারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়? রাতে হামলার পর পুনরায় সকালে হামলা চালায় তারা।’

আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন ভাইকে জানিয়েছি। তিনি ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল কাইয়ুম সরকার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মিয়াকে কল দেয়া হলে তারা রিসিভ করেন নি।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে