প্রবাস ডেস্ক : সিঙ্গাপুরে সম্প্রতি নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৪১ জন জিকা আক্রান্তের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরে জিকা আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনাক্ত হন। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার কিছুদিন আগে জিকাকবলিত ব্রাজিল সফর করেছেন। তবে রবিবার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নতুন করে ৪১ জন জিকা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সিঙ্গাপুরের ভেতরেই মশার কামড় জিকা আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি নির্মাণ শ্রমিক বলে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে নিয়োজিত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মাহবুব উজ জামান এক ইমেইলের মাধ্যমে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জিকা আক্রান্ত বাংলাদেশি শনাক্ত হওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘গতকাল সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে জিকা আক্রান্তদের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশি রয়েছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গ খুব সামান্য এবং তাদের কেউ সেরে উঠেছেন আবার কেউ সেরে উঠছেন।’
জিকা ভাইরাস সর্বপ্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় রেসাস ম্যাকাক নামের বানরের দেহে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে উগান্ডা ও তানজানিয়াতে মানবদেহে প্রথমবারের মতো ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়।
এডিস প্রজাতির মশা থেকে জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে থাকে। জ্বর, জয়েন্ট পেইনসহ ছোটখাটো কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় এ ভাইরাসের কারণে। আবার তা এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে সেরেও যায়। তবে বিপত্তি তৈরি হয় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে।
গত বছর ব্রাজিলে মাইক্রোসেফালি বা অস্বাভাবিক আকৃতির মাথা নিয়ে শত শত শিশুর জন্ম হয়। মশাবাহিত ভাইরাস জিকাকে এ ধরণের শিশু জন্মানোর কারণ বলে সে সময়ই সন্দেহ করা হচ্ছিল। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা গবেষণা শুরু করেন।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জিকা ভাইরাস থেকে যে মাইক্রোসেফালি হতে পারে সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। এর আগে যৌন মিলনের মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ানোর কথাও নিশ্চিত করেছিলেন তারা। সূত্র: স্ট্রেইট টাইমস, বাংলা ট্রিবিউন
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম