প্রবাস ডেস্ক : মার্কিন কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ার কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলি বললেন, ‘প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ভারতে নিয়ে গেছি। ঠিক একইভাবে ‘প্রেসিডেন্ট’ হিলারি ক্লিনটনকেও বাংলাদেশে নিয়ে যাব। হিলারি ক্লিনটনও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।’ খবর এনআরবি নিউজের।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে নান্দুস পার্টি হলে দক্ষিণ এশিয়ান-আমেরিকানদের এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির সদস্য খোরশেদ খন্দকারের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলি হিলারিকে আবারও ঢাকায় নেওয়ার আশাবাদ পোষণ করেন। ‘নারী ক্ষমতায়নে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও নারী। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন হিলারি। তাই তাকে নিয়ে অবশ্যই ঢাকায় যাওয়ার বিষয়টি ইতিহাসেরই একটি অংশ উল্লেখ করেন ক্রাউলি।
‘সাউথ এশিয়ান ফর ক্রাউলি’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ এবং পরিচালনা করেন ইউএস সুপ্রিমকোর্টের অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিসহ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বিশিষ্টজনরা অংশ নেন। বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মধ্যে ছিলেন মোর্শেদ আলম, খোরশেদ খন্দকার, সাবু মিয়া, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির এই কংগ্রেসম্যান ক্রাউলি বলেন, ‘অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এই এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত একবারও এই এলাকায় আসেননি। এমনকি কুইন্সের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কেও তার কোনো ধারণা আছে কিনা সন্দেহ। অপরদিকে, ভিন্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী হয়েও হিলারি ক্লিনটন ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের সময় এবং চূড়ান্তভাবে পার্টির প্রার্থী হওয়ার পর কয়েক দফা এসেছেন কুইন্সে। তাই সবাইকে ভোট দিতে হবে হিলারিকেই।’ ক্রাউলি বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রমী আর মধ্যবিত্তশ্রেণির মানুষের সার্বিক কল্যাণে ৩০ বছর ধরে কর্মরত হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হলেই ইমিগ্র্যান্টদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটবে।’ বিডি প্রতিদিন
২২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি