প্রবাস ডেস্ক: খাবার মোটে পছন্দ হয়নি দম্পতির। এক ওয়েটার বিষয়টি রেস্তোঁরার হেড শেফকে জানান। অভিযোগ, এরপরই রেস্তোঁরার হেড শেফ একবাটি লঙ্কার গুঁড়ো এনে ছুড়ে মারেন ওই দম্পতির দিকে। লাল লঙ্কার গুঁড়ো গিয়ে লাগে ডেভিড ইভান নামে বছর ৪৬-র ওই ব্যক্তির চোথে। স্যাটারডে নাইটে ডিনার করতে এসেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু কপালের ফেরে ওই ব্যক্তির আপাতত ঠিকানা হাসপাতালের বেড।
ব্রিটেনের সাউথ ওয়েলসে ঘটনাটি ঘটেছে। আর অভিয়োগের আঙুল যে শেফের দিকে, তিনি একজন বাংলাদেশি যুবক। নাম কামরুল ইসলাম। যদিও কামরুলের বক্তব্য, তিনি নিজেকে বাঁচাতে এমন কাণ্ড ঘটিযেছেন। খাবার না পছন্দ হওয়ার কারণে ডেভিড তাঁকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাই হাতের কাছে রাখা লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে মারেন তিনি। সজ্ঞানেই এই কাজ করেছেন বলে দাবি কামরুলের।
কী ঘটেছিল এদিন? ডেভিডের স্ত্রী মিশেলের কথায়, ‘প্রিন্স অফ বেঙ্গল নামে ওই রেস্তোরাঁয় ডিনার করতে গিয়েছিলাম আমরা। খাবারগুলি অত্যন্ত শক্ত ছিল। এক ওয়েটার খাবার সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় তাঁকে সে কথা বলি। এতেই রেগে যান এখানকার শেফ। রান্নাঘর থেকে এক বাটি লঙ্কার গুঁড়ো এনে চোখে ছুড়ে মারেন।’ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বামীর চোখ দুটির কী ভবিষ্যৎ তা ভাবাচ্ছে মিশেলকে।
কিন্তু কামরুলের দাবি, ডেভিড তার পিছু পিছু রান্নাঘরের দিকে আসেন। মারমুখী হয়ে ছিলেন তিনি। অন্য স্টাফদের ধাক্কা মেরে সরিয়েও দেন। তাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন কামরুল। আত্মরক্ষার জন্যই সামনে থাকা লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে মারেন। কামরুল বলেন, লঙ্কায় জ্বালা করে ঠিকই। কিন্তু জীবনহানির কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই নিজেকে বাঁচাতে এই পথ তিনি বেছে নেন। যদিও হেনস্তার অভিযোগে কামরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পায় সে। পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনাটি খতিয়ে দেখেছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি ফের আদালতে হাজির হতে হবে কামরুলকে।-সংবাদ প্রতিদিন
২৬ জানুয়ারি২০১৭/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ