অদিতি খান্না, যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন দেশটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি হলেন পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার সাবেক মেয়র লুতফর রহমান। রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশেই তার দল গঠনের এ উদ্যোগ।
দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র থাকাকালে বিতর্কিতভাবে বরখাস্ত করা হয় লুতফর রহমানকে। ভোট জালিয়াতি ও মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল তাকে বরখাস্ত করা হয়।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রিচার্ড মোরি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ২০১৪ সালের মে মাসে মেয়র প্রার্থী হিসাবে লড়াইয়ে নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন লুতফর রহমান। ফলে ওই নির্বাচনকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয়।
লুতফর রহমানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন চারজন ভোটার। তারা তার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি এবং অবৈধ চর্চা’র অভিযোগ আনেন। তবে এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক এ মেয়র।
অভিযোগকারীদের দাবিকে ‘বানোয়াট ও অতিরঞ্জিত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ রাজনীতিকের আইনজীবীরা। তারা বলছেন, ‘কিছু বিষয়ে লুতফর রহমানের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’
চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ ‘টাওয়ার হ্যামলেটস টুগেদার’ নামের নতুন রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে। এটা হবে লুতফর রহমানের পুরনো দল 'টাওয়ার হ্যামলেটস ফার্স্ট পার্টি’র নবগঠিত সংস্করণ।
২০২০ সাল পর্যন্ত স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে লুতফর রহমানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে তার নতুন দল ২০১৮ সালের মে মাসের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের সমর্থন দিতে আগ্রহী।
টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার বর্তমান মেয়র লেবার পার্টির জন বিগস। তিনি বলেছেন, যে কোনও গ্রুপ চাইলেই একটি দল গঠন করতে পারে।
লুতফর রহমানের মামলার বিষয়ে দুই বছর আগে সরকারি এক রিভিউ’র নেতৃত্বে ছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক মন্ত্রী এরিক পিকলস। গত বছরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অরক্ষিত সদস্য, বিশেষ করে নারী ও তরুণ সম্প্রদায়ের সদস্যদের চাপ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বয়োজ্যেষ্ঠদের সিদ্ধান্তে ভোট দিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এলাকায় এটা ঘটেছে।’
ব্রিটিশ সরকার ‘ব্যালটের গোপনীয়তা’র বিষয়টি আরও প্রসারিত করতে আগ্রহী। এর অংশ হিসেবে আগামী বছরের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পোলিং স্টেশনগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে আইডি কার্ড ব্যবহারের বিধান রাখা হচ্ছে। -বাংলা ট্রিবিউন।
২৮ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম