নিউজ ডেস্ক : পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন সংস্কার ও বিতাড়ন প্রক্রিয়ার ঘোষণার বাস্তবতায় এ ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীরা বলছেন, ‘যতই ঝড়ঝাঞ্ঝা আসুক না কেন, যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে আপনারা যাবেন না। আপনারা আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন।’
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশি এবং মার্কিন আইনজীবীরা এই পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন বাস্তবতায় যেসব বাংলাদেশিরা নিবন্ধনের ভয়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নানা চেষ্টা করেও তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারেননি। এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
আয়োজকেরা বলেন, এর মধ্যে নিউইয়র্ককে ‘গ্রিন জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর এন্ড্রো কুমো এবং মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন মুসলিমদের নিবন্ধন শুরু করলে আমরাই আগে সেই নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় মুসলিম হিসেবে নিবন্ধিত হব।’
গভর্নর এন্ড্রু কুমো এও বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক থেকে একজন অভিবাসীকে ফেরত পাঠাতে হলে আগে আমাকে হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠাতে হবে।’
আয়োজকেরা আরও বলেন, তাঁরা গভর্নর ও মেয়রের এ ধরনের বক্তব্যে আশাবাদী হতে চান। পরামর্শ দিতে চান কোনো বাংলাদেশি যেন নিবন্ধনের ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে না যান। সবকিছুর জন্য যেন তাঁরা আইনি পরামর্শ নেন।
সেমিনারে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিদের নির্ভয়ে থাকার পরামর্শ দেন অ্যাটর্নি বেরি সিলভার ও আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার।
মোহাম্মদ এন মজুমদার ট্রাম্প প্রশাসন ও নতুন অভিবাসন আইনের ব্যাখ্যা দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করে কীভাবে গ্রিন কার্ড পাওয়া যায়, পুরোনো মামলা কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করে গ্রিন কার্ড পাওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। গৃহবিবাদ, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েও বিশদ আলোচনা করেন।
কীভাবে ট্যাক্স ফাইল করতে হবে এবং কী কী তথ্য দিতে হবে-তার ওপর ধারণা দেন এয়াকুব খান সিপিএ। এ ছাড়া ইনস্যুরেন্স বিষয়ে ধারণা দেন, এনওআই ইনস্যুরেন্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নেওয়াজ। ওই সেমিনারের আয়োজন করে বেরি সিলভার ল ফার্ম। -প্রথম আলো।
২৮ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম