শামছুজ্জামান নাঈম, মালয়েশিয়া থেকে : মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী কাগজপত্রহীন প্রবাসী শ্রমিকদের ইমিগ্রেশন থেকে ই-কার্ড (টেম্পোরারি পাস) গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (লেবার) সায়েদুল ইসলাম।
গত বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতোশ্রি নাজিব তুন রাজাকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ এবং দেশটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশী কাগজপত্রহীন শ্রমিকদের বৈধতার আওতায় আনার অনুরোধ করেন। এ অনুরোধে সাড়া দিয়ে মালয়েশিয়া সরকার গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ই-কার্ড (টেম্পোরারি পাস) কার্যক্রম শুরু করেন। এটি চলমান রিহায়ারিং প্রোগ্রামেরই একটি অংশ।
ই-কার্ড সম্পর্কে তিনি জানান, যাদের কোনো প্রকার কাগজপত্র নেই তাদের ডকুমেন্ট প্রদানের লক্ষ্যে দুই ধরনের টেম্পোরারি পাস দেয়া হবে। প্রথম যাদের কোনো ধরনের কাগজপত্র নেই তারা মালিকের সহায়তায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে গেলে তাদের একটি ‘লাল’ টেম্পোরারি পাস দেয়া হবে। পরে সেই কার্ডটি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গিয়ে পাসপোর্ট করতে হবে।
সেই পাসপোর্ট নিয়ে আবারো ইমিগ্রেশনে গেলে তাদের ‘নীল’ টেম্পোরারি পাস দেয়া হবে। এই কার্ডের মেয়াদ হবে এক বছর। এই সময়ের মধ্যে চলমান যে রিহায়ারিং প্রোগ্রাম আছে তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে বৈধতার আওতায় আসতে সক্ষম হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশী শ্রমিকদের এ প্রোগ্রামের আওতায় আসার পরামর্শ দেন।
পুলিশি ঝামেলা এড়াতে ও নির্বিঘঘ্ন কাজ করতে কাগজপত্রহীন প্রবাসী শ্রমিকদের বৈধতার আওতায় আসতে জোর তাগিদ দেন মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
অন্য দিকে, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী নিয়োগকর্তাদের কোনো এজেন্ট বা দালাল দিয়ে ই-কার্ডের নিবন্ধন না করতে সতর্ক করেন।
উল্লেখ্য, এই ই-কার্ডের মেয়াদ থাকবে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে রিহায়ারিং পদ্ধতিতে শ্রমিককে নির্দিষ্ট মালিকের মাধ্যমে বৈধ ভিসা করতে হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম